দেশ বিভাগে ফিরে যান

গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া, বাধ্য হয়ে মানুষকে বেছে নিতে হচ্ছে কাঠ ও কয়লার উনুন

February 3, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পাকা ঘরের এক কোণে রয়েছে মাটির উনুন। সে উনুন থেকে ছাই বার করছেন চল্লিশোর্ধ্ব এক মহিলা। এ দিকে, উনুনের পাশেই রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার ও লোহার বড় আভেন। গ্যাস থাকতেও কেন উনুন পরিষ্কার করতে হচ্ছে? মহিলা বলেন, ‘‘গ্যাসের যেভাবে দাম বাড়ছে, তাতে উনুনই ভরসা।’’

এই চিত্র এখন বাংলার জেলায় জেলায়। রান্নার গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া। সিলিন্ডার কিনতে লাগছে প্রায় হাজার টাকা। আর সেই কারণে রান্নার গ্যাস ব্যবহার করার উপায়ই নেই রাজ্যের ১ কোটি ১০ লক্ষ পরিবারের। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তাঁদের ভরসা কাঠ ও কয়লার উনুন।

আর এই উনুনের ব্যবহারের ফলে বাড়ছে বায়ুদূষণ। পশ্চিমবঙ্গের বাতাসে ভাসমান দূষণের ৫০ শতাংশ এটা থেকেই হচ্ছে। শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এসে একথা জানিয়েছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং আইআইটি দিল্লির গবেষণা থেকেই এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এই তথ্য থেকেই স্পষ্ট, মোদি সরকারের আমলে গ্যাসের অতিরিক্ত দামবৃদ্ধি কী পরিমাণ বিপর্যয় ডেকে আনছে দরিদ্র পরিবারগুলিতে।

জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার বহু মানুষ উনুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন শুকনো কাঠ, পাতা। মুর্শিদাবাদ, নদীয়ায় গরিবের ভরসা গোবর পাটকাঠি আর পশ্চিম বর্ধমানে কয়লা। গ্যাসের ওভেন দেওয়া হলেও, আকাশছোঁয়া দামের কারণে বাধ্য হয়ে তাঁরা উনুন ব্যবহার করছেন। রান্নাঘরের এই দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দাবি, বছরে ছ’লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে শুধু বায়ুদূষণে।

গ্যাসের দাম কমানো সম্ভব না হলেও দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিকল্প রাস্তা খুঁজেছে পর্ষদ। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই লক্ষ লক্ষ পরিবারের হাতে স্মোকলেস চুলা তুলে দেওয়া হবে। এতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কাঠ, কয়লা। তবে তা থেকে ৭০ শতাংশ কম ধোঁয়া নির্গত হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Cooking, #Gas, #gas price hike

আরো দেখুন