কমলার খোসার উপকারের কথা জানলে তা ফেলে দেওয়ার মতো ভুল করবেন না কখনও
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফলটুকুই তো মূল। খোসা আর বিচি ফেলে দিলেই না ফলের স্বাদ পাওয়া যাবে। তবে ফেলে দেওয়া জিনিসও যে রূপচর্চায় বেশ কাজে লাগতে পারে, প্রমাণ পাওয়া গেছে অনেকবার। এখন কমলার সময়। স্বাদে তো কমলা দারুণ, এর খোসাও কিন্তু কম যায় না।
এই খোসার উপকারের কথা জানলে তা ফেলে দেওয়ার মতো ভুল করবেন না কখনও। এই খোসা নানা কাজে ব্যবহার করতে চাইলে প্রথমে শীতের রোদে কমলালেবুর খোসাকে শুকিয়ে নিন। তারপর তা মিক্সিতে গুঁড়ো করে একটা কৌটোয় ভরে রাখুন।
ভিটামিন সি কমলার খোসার মধ্যেও আছে। খোসা ভালো করে জ্বাল দিয়ে রস বের করে নিন। যেকোনো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্নান করার আগে গায়ে মালিশ করে নিন। ত্বকে মসৃণ ভাব চলে আসবে। ঠিক একইভাবে কমলার খোসা শুকিয়ে পাউডার করে সেটা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
যেকোনো মিষ্টিতেও কমলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। চোখের দেখা আর মুখের স্বাদ দুটোর জন্যই ভালো কাজ করবে।
চালের গুঁড়া, দই ও কমলার খোসা তিনটি জিনিস মিশিয়ে আলতোভাবে মালিশ করলে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে।
ব্রণের সমস্যা কমাতে কমলার খোসার পেস্ট ব্যবহার করুন।
স্ক্রাবার হিসেবে কমলার খোসা ব্যবহার করে দেখুন, শুকনো চামড়া সরে যাবে, ত্বক নরম হবে।
খোলা লোমকূপের সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান হবে।
ত্বকে অমসৃণভাবে কালো দাগের সমস্যা থাকলে ময়দা, কমলার রস, কমলার খোসা মিশিয়ে মালিশ করুন কিছুক্ষণ। চলে যাবে। যত সাধারণভাবে কম উপকরণ মিশিয়ে করবেন, তত ভালো ফলাফল পাবেন।
যেকোনো প্যাকের সঙ্গেও কমলার খোসা মিলিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে দুধ অথবা দইয়ের সঙ্গে কমলার খোসা মিশিয়ে নিতে পারেন।
চকচকে ভাব আনতে নখে ঘষুন। সারা রাত কমলার খোসা জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তিনটি কাজ হবে—চুল পরিষ্কার, খুশকি দূর ও চুল নরম করা।
বলিরেখা কমিয়ে আনতেও এর জুরি মেলা ভার।
কমলালেবুর খোসায় ক্যালোরি অনেক কম। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও রয়েছে। যা খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ওজন কমাতে চাইলে হাই ফাইবার ডায়েটে পাতে রাখুন কমলালেবু।
কমলালেবুর খোসায় সামান্য জল ছিটিয়ে দিন। এরপর সেই জল মাখা খোসা দাঁতে ঘষে নিলে দাঁতের হলদেটে ভাব সরে ঝকঝক করবে দাঁত।
কমলার খোসায় পেকটিন থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়ায়। পাকস্থলীতে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে কমলালেবুর খোসার চা পান করলে তা উপকারী।
কমলালেবুর খোসা ফোটানো জলে একটু দারচিনি যোগ করুন। এবার এই জল একটি স্প্রে জারে ভরে রাখুন। ঘরের বাতাস স্যাঁতসেঁতে মনে হলে এই জল স্প্রে করুন। এতে ঘরের বাতাসের গুমোট স্যাঁতসেঁতে ভাব কমবে।