Cyber Frauds: স্ক্যান করলেই স্ক্যাম! বিজ্ঞাপনের আড়ালে প্রতারণার ফাঁদ?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: পথঘাটে হরেক রকমের বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে? নানান ছাড়, অফারের ভিড়! বলা হয়, ছাড় পেতে বিজ্ঞাপনে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। ছাড়ের লোভ কেউই হাতছাড়া করতে চান না। স্ক্যান করলেই স্ক্যাম, সস্তায় দামি পণ্য কিনতে কিউআর কোড স্ক্যান করা মাত্রই ফাঁকা হচ্ছে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট। বারবার সতর্কবার্তা দিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বিজ্ঞাপনী চমকে মোহিত হবে না। রাজ্যগুলির কাছে দিল্লির সতর্কবার্তা এসেছে।
প্রতারণার ফাঁদের ধরন দিন দিন বদলাচ্ছে, প্রতিদিনই প্রতারকরা নিত্যনতুন কৌশল নিয়ে হাজির হচ্ছে। তদন্তকারীদেরও এগিয়ে ভাবতে হচ্ছে। কুইশিং স্ক্যাম এখন সাইবার অপরাধের ‘লেটেস্ট ভার্সান’। বিজ্ঞাপনের মোড়কের আড়ালে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে অপরাধীরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শ, রাস্তায় থাকা কিউআর কোড কোনও মতেই স্ক্যান করবেন না। কোনও কারণে স্ক্যান করে ফেললেও, তারপর আসা লিঙ্কে ক্লিক নয়। স্ক্যান করার আগে ইউআরএল থেকে সংস্থার আসল কিনা আইডি যাচাই করার কথাও বলছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
কীভাবে হয় কুইশিং স্ক্যাম?
সাইবার প্রতারকরা বিভিন্ন নামী কোম্পানির জাল ওয়েবসাইট তৈরি করছে। তারপর কোম্পানির নাম করে বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। শপিং মল, সরকারি ভবন বা জনবহুল এলাকার দেওয়ালে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। কোথাও ওয়েবসাইটে ক্লিক করে পেমেন্ট অপশনে যেতে বলা হচ্ছে, আবার কোথাও নিদান দেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞাপনে থাকা সাইটে ক্লিক করে সেখান থেকে কিউ আর কোড নিতে, আবার সরাসরি কিউআর কোড স্ক্যানের ব্যবস্থাও থাকছে কোনও কোনও জায়গায়। স্ক্যান করলেই বিপদ। ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেনে নেওয়া হচ্ছে গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য। টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। রাজস্থান, হরিয়ানা থেকে চক্র চলছে, সদস্যরা গোটা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। এহেন জালিয়াতিতে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন।