নীতিন গড়করির নিশানায় কি মোদী-শাহ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা মাস। তারপরই লোকসভা নির্বাচন। ক্রমেই শাসক ও বিরোধীপক্ষ তা নিয়ে নিজেদের কৌশল সাজাচ্ছে। সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ‘আব কি বার ৪০০ পার’-এর স্লোগানে শান দিচ্ছেন, তখনই কৌশলে তাঁকেই নিশানা করলেন সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, দক্ষ সংগঠক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজনৈতিকমহলে।
মঙ্গলবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি। সেখানে তিনি বলেন, ‘যে ভালো কাজ করে, সে কখনওই প্রাপ্য সম্মান পায় না। আবার ভুল কাজ করেও অনেকে পার পেয়ে যায়। সরকারে যে দলই আসুক, এই নিয়মে তেমন কোনও নড়চড় হয় না। আমি প্রায়ই মজা করে এই বিষয়টি তুলে ধরি।’ মোদী সরকারের মন্ত্রীর কণ্ঠে এমন অভিমান বা আক্ষেপের সুর লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে আসতেই তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে সাড়া পড়ে গিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই মন্তব্যে অন্য গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। তাদের বক্তব্য, সড়ক-পরিবহণমন্ত্রী হলেও মোদী-শাহ জমানায় কোণঠাসা গাদকারি। প্রচুর অভিজ্ঞতা থাকলেও কার্যত ‘দুয়োরানি’ করে রাখা হয়েছে এই অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে।
একাধিক রাজ্যে ভোটে না জিতলেও ঘুরপথে সরকার গঠন করেছে বিজেপি। একের পর এক রাজ্যে অপারেশন লোটাস চালিয়েছে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি মহাগঠবন্ধনের হাত ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এরপরই তাঁকে ‘সুবিধাবাদী’ বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। নাম না করলেও সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে গাড়কারির ভাষণেও। উল্লেখ্য, দেশের ‘হাইওয়ে ম্যান’ হিসাবে পরিচিতি রয়েছে এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পরিবহন মন্ত্রী হিসাবে তাঁর আমলে দেশ পেয়েছে একাধিক তাবড় হাইওয়ে। সেই নীতিন গডকরি বলছেন, ‘এমন কিছু লোক আছেন যাঁরা তাঁদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু এই ধরনের মানুষের সংখ্যা কমছে। আর আদর্শের অবনতি, যা ঘটছে, তা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’