আমিষ খাবারের দাম কিছুটা কমলেও নিরামিষ বেশ চড়া, বলছে CIRIL-এর সমীক্ষা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতে বহু ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের যেমন রোজগারে সামঞ্জস্য নেই, তেমনই খাওয়াদাওয়ার প্রকৃতিও আলাদা আলাদা। সেসব মাথায় রেখেই ভারতবাসীর গড়পড়তা খাই-খরচের হিসেব কষেছে ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ক্রিসিল। বাজার করে বাড়ির হেঁশেলে রান্না এবং নিত্যদিন পাতে পড়ার উপযোগী খাবারের গড় খরচের আঁচ পেতে চেয়েছে ক্রিসিল।
তাদের দাবি, আমিষ খাবারের খরচে সামান্য হলেও রেহাই পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু উল্টো ছবি নিরামিষ খাবারে। ২০২২ সালের ডিসম্বেরের নিরিখে তো বটেই, গতবছরের মাঝামাঝিও দামের যে আঁচ ছিল, গত ডিসেম্বরে তাতে সামান্য স্বস্তি মিলেছে আমিষভোজীদের। কিন্তু সঙ্কটে নিরামিষাশীরাই।
ক্রিসিলের হিসেব বলছে, ২০২২-এর ডিসেম্বরে একথালা আমিষ ভাতের জন্য খরচ হতো ৬০.১০ টাকা, এখন সেটা কমে ৫৭.৬০ টাকা হয়েছে। একবছরে দাম কমেছে ৪ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এক প্লেট নিরামিষ খাবারের দাম ছিল ২৬.৬০ টাকা। সেটা এখন বেড়ে হয়েছে ২৯.৭ টাকা। অর্থাৎ এখন এক প্লেট নিরামিষ খাবারের দাম প্রায় ৩০ টাকা, বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ। সংস্থাটির হিসেব, গতবছর জুলাইয়ে খাদ্যদ্রব্যের দাম এতই চড়া ছিল যে এক প্লেট আমিষ খাবারের দাম ৬৭.৭০ টাকায় পৌঁছেছিল। নিরামিষ খাবারের দাম ছিল প্লেট পিছু ৩৪ টাকা। সাম্প্রতিককালে এটাই সর্বোচ্চ।