নবীনচন্দ্র সেন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রবীন্দ্র-পূর্ববর্তী যুগের অন্যতম উল্লেখযোগ্য কবি ছিলেন নবীনচন্দ্র সেন, তাঁর লেখা ‘পলাশীর যুদ্ধ’ কাব্যগ্রন্থটি তদানিন্তন সময়ে আলোড়ন তৈরি করেছিল, দেশবাসী ও তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকদের মধ্যে। ‘পলাশীর যুদ্ধ’ ছাড়াও তাঁর লেখা অন্যতম বিখ্যাত আখ্যানকাব্যের ট্রিলজি হল ‘রৈবতক’, ‘কুরুক্ষেত্র’ এবং ‘প্রভাস’। ১৮৪৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজকের দিনে অধুনা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের নোয়াপাড়া গ্রামে বৈদ্য জমিদার পরিবারে নবীনচন্দ্র সেনের জন্ম হয়। নবীনচন্দ্রের জন্মের তৃতীয় দিনের মাথায়, তাঁদের গ্রামটি এক ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডে ভষ্মীভূত হয়ে যায়। নতুন করে সব তৈরি করতে হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই নবীনচন্দ্রের পরিবারের গুরুপত্নী নবজাতকের নাম রাখেন ‘নবীন’।
নবীনচন্দ্রের পূর্বপুরুষ বৌদ্ধ সেন রাঢ় বাংলা থেকে পূর্ববঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। বৌদ্ধ সেন ছিলেন তৎকালীন ঢাকার নবাবের কর্মচারী। নবাব, বৌদ্ধ সেনের কাজে খুশি হয়ে তাঁকে ‘রায়’ উপাধি প্রদান করেন। সেই থেকে নবীনচন্দ্রের পূর্বপুরুষরা ‘রায়’ উপাধি ব্যবহার করেন। নবীনচন্দ্র নিজে তাঁর আদি পদবি ‘সেন’ ব্যবহার করতেন