দেশজুড়ে রেল রোকো ডাক কৃষকদের, প্রতিরোধ তিক্রি সীমানায়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দিল্লি-হরিয়ানার তিক্রি সীমানায় পিছু হটার লক্ষণ নেই আন্দোলনকারীদের। এই খবর পেয়ে সিনিয়র অফিসাররা নির্দেশ দিয়েছে ‘অ্যালার্ট রহো। উই আর অন স্ট্যান্ড বাই মোড।’ এই নির্দেশ পেয়েই আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা কাঁটাতার দেওয়া লোহার ব্যারিকেড দেওয়া শুরু করেছে।
জানা যাচ্ছে কৃষক বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনেও উত্তাল পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানা। কৃষকদের লক্ষ্য করে চার্জ করা হয়েছে কাঁদানে গ্যাস।
আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, মঙ্গলবারের মতো বুধবারও হয়তো আকাশপথে ড্রোনের মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য করে ধেয়ে আসবে পরের পর কাঁদানে গ্যাসের শেল। এগুলোই সেই ড্রোন, যা হরিয়ানা সরকার কিনেছিল প্রধানত ফসলের মনিটরিং এবং কৃষি জমি সার্ভের জন্য। চাষের জন্য কেনা সরকারি ড্রোনই আজ কৃষকদের বিরুদ্ধেই মোদী সরকারের হাতিয়ার।
কৃষকদের জব্দ করতে মোতায়েন করা হয়েছে ‘শব্দদানব’ও। এর নাম ‘লং রেঞ্জ অ্যাকুস্টিক ডিভাইসেস’ বা এলআরএডি। এর থেকে বের হবে প্রচণ্ড জোরে শব্দ। যার ফলে ছত্রখান হবে বিক্ষোভকারীরা। শ্রবণ ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ২০১৩ সালে বিক্ষোভ-ধর্না মোকাবিলায় এই LRAD কেনে দিল্লি পুলিস। সূত্রের খবর, তাদের হাতে পাঁচটি ‘সনিক ওয়েপন’ রয়েছে। প্রতিটির দাম ৩০ লক্ষ টাকার মতো। সেটাই আনা হচ্ছে সীমানায়।
মোদী সরকার ও পুলিশের এই কৌশলের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরাও কিছু কৌশল অবলম্বন করেন। যেমন গ্যাস চার্জ হতেই চোখে মুখে জলের ঝাপ্টা দিয়েছেন কৃষকরা। কাঁদানে গ্যাসের জ্বালা যাতে কম হয়, তার জন্য অনেকে মেখেছিলেন মুলতানি মাটিও। কিন্তু ড্রোন ঠেকাতেও ব্যবস্থা ছিল কৃষকদের কাছে। একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতি—ঘুড়ি ওড়ানো। পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানার আকাশে তাই এদিন উড়েছে দেদার ঘুড়ি। ড্রোনকে দিগভ্রষ্ট করা এবং মাঞ্জা সুতোয় অকেজো করে দেওয়া, লক্ষ্য সেটাই।
আজ পঞ্জাব-হরিয়ানাজুড়ে ‘রেল রোকো’ হবে। প্রতিরোধ বাড়িয়ে যাওয়া লক্ষ্য । এবারও কোমর বাঁধছেন কৃষকরা।