আজ দেশ জুড়ে ‘গ্রামীণ বনধকে’ সার্বিক ধর্মঘটের রূপ দিতে চাইছেন কৃষকরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শুক্রবার দেশজুড়ে গ্রামীণ বনধের ডাক দিল সংযুক্ত কিষান মোর্চা। সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিল, আজ কারখানাগুলিতেও কোনওরকম কাজ করতে দেওয়া হবে না। বন্ধ থাকবে উৎপাদন। গ্রামীণ বনধকে ভারত ধর্মঘটের রূপ দিতে মরিয়া আন্দোলনকারীরা। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে স্লোগান – ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’। কিষান মোর্চা এবং শ্রমিক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, আজ দেশজুড়ে চার ঘণ্টার ব্যাপক ‘চাক্কা জ্যাম’ করা হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবের কৃষকরা ঘোষণা করেছিল দিল্লির উদ্দেশে পদযাত্রার করার। তিন দিনের জন্য পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী পঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকদের এক মিটারও এগোতে দেয়নি। ১৬ ফেব্রুয়ারি শুধু পঞ্জাবের কৃষকরাই নয়, সারা দেশের কৃষক সংগঠনগুলিও তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একজোট হয়ে দাঁড়াবে সরকারের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষক সংগঠনের তৃতীয় দফার আলোচনাও ব্যর্থ হয়। শুক্রতে কৃষকদের ডাকে ভারত বনধ। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে দিল্লির সমস্ত সীমান্ত পুলিশের পক্ষ থেকে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে বলা হচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলিকে।
পাশাপাশি সর্বভারতীয় কৃষক নেতা গুরনাম সিং চারুনি জানিয়েছেন, আজ হরিয়ানার সমস্ত টোল প্লাজায় অবস্থান করবে আন্দোলনকারীরা। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত রাজ্যের কোনও টোল প্লাজায় টোল নিতে দেওয়া হবে না। কাল, শনিবার রাজ্যজুড়ে হবে দু’ঘণ্টার ট্রাক্টর মিছিল। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের হুঁশিয়ারি, ‘শুক্রবার কোনও চাষি কৃষিকাজ করবেন না। কেন্দ্রকে আরও বড়সড় আন্দোলনের বার্তা দেওয়া হবে।’ বৃহস্পতিবার প্রধানত পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাজুড়ে ‘রেল রোকো’তে শামিল হয় আন্দোলনকারী কৃষকরা। সবমিলিয়ে দিল্লি-হরিয়ানা, পাঞ্জাব-হরিয়ানা, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।