স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

মরশুমি সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে করুন স্টিম-গার্গল থেরাপি

February 16, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মরশুমি সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, গলা ব্যথা অথবা আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টইনফেকশান কমাতে অত্যন্ত ফলপ্রসু। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরম জলের ভাঁপ নেওয়ার মাধ্যমেই নাকি ১১টি রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। শুধু গরম জলের সঙ্গে মেশাতে হবে ঘরোয়া কয়েকটি ভেষজ। এতেই নাক, গলা ও ফুসফুস সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে সঠিক নিয়ম না মানলে স্টিম থেরাপির উপকার পাবেন না। বরং ক্ষতিও হতে পারে।

স্টিম ইনহেলেশন যে ১১টি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা করতে সহায়তা করে-
১. সাধারণ ঠান্ডা ২. ইনফ্লুয়েঞ্জা ৩. সাইনাস ৪. ব্রংকাইটিস ৫. নাকের অ্যালার্জি ৬. মাথাব্যথা ৭. বন্ধ নাক ৮. গলা ব্যথা ৯. বুকে জমা কফ ও শ্বাসকষ্ট ১০. নাকে শুষ্কতা ও চুলকানি ১১. কাশি।

স্টিম নেওয়ার নিয়ম:

১) ছড়ানো মুখবিশিষ্ট পাত্রে উষ্ণ এবং ফোটানো জল নিন।

২) সামান্য থেরো করে তুলসী পাতা, লবঙ্গ, কর্পূর, দারচিনি, জোয়ান ও পুদিনা পাতা (প্রতিটি ৩-৫ মিলিগ্রাম) নিয়ে ফোটানো গরম জলে মেশান।

৩) সামান্য তিল তেল নিয়ে কপাল, ঘাড়, গলা, কানের পাশে এবং মুখে হালকা হাতে ১-২ মিনিট মালিশ করুন।

৪) এবার নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার মতো করে স্টিম নিতে আরম্ভ করুন।

৫) চোখ বন্ধ রাখবেন। ন।

৬) ২-৫ মিনিট দিনে ৩/৪ বার নিতে পারেন।

গার্গল করার নিয়ম

১) তরল যেন ভীষণ গরম না হয়।

২) মুখের ভেতরে কোনও ক্ষত বা ঘা থাকলে খুব গরম তরল ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ গার্গল ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) গাম ব্লিডিং থাকলে, মুখে কোনও টিউমার থাকলে গার্গল করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

স্টিম থেরাপি একটানা সাতদিনের বেশি করা উচিত নয়। মরশুমি সর্দি-কাশিতে ব্যবহৃত গার্গল উষ্ণ ফোটানো জলে আদা, যষ্টিমধু, পুদিনা এবং হলুদ মিশিয়ে ছেকে নিয়ে গার্গল করা যায়। নুন জল দিয়েও গার্গল করতে পারেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Pain, #Cold, #Cough, #Medication, #influenza, #Steam gargle therapy

আরো দেখুন