Aadhar Card নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মখ্যমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সামনেই লোকসভা ভোট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আধার কার্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির চাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন থেকে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা প্রশ্ন তুললেন, লোকসভা ভোটের আগে হঠাৎ এত লোকের আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছে কেন? তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার গায়ের জোরে সব কাজ করছে।
মতুয়ারা এই ইস্যুতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বলেই দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, নির্বাচনের আগে বেছে বেছে কেন্দ্র এমন পদক্ষেপ করছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক জেলায় এমন ঘটনা ঘটছে। মতুয়াদের সবচেয়ে বেশি আধার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তফশিলি এবং সংখ্যালঘুদের ওপরও অত্যাচার হচ্ছে। মমতার অভিযোগ, অসমের মতো ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির ভাবনা নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তিনি বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না। তাঁর কথায়, ”এখানে ডিটেইনশন ক্যাম্প হবে না। এটা অসম নয়, এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, এটা বিহার নয়। এটা বাংলা।”
আচমকা আধার কার্ড বাতিল হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দাদের। বেশিরভাগই সংখ্যালঘু, মতুয়া, তফসিলি জাতি-উপজাতির নাগরিকরা বেশি। মূলত ক্যাগ রিপোর্টকে মিথ্যে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি লিখেছেন একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই। ক্যাগ রিপোর্টে বলা হচ্ছে ২,২৯,০৯৯ কোটির ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। ২০০২-০৩ থেকে ২০২০-২১ সাল পর্যন্ত এটা দেওয়া হয়নি বলে বলা হচ্ছে।
কিন্তু আমরা যাচাই করে দেখেছি রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নির্ধারিত সময়েই ওই সার্টিফিকেট জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে। আর এটা আপনি ভালোই জানেন যে সেই সার্টিফিকেট দেখে সন্তুষ্ট হয়েই পরের অনুদান এসেছে। আর সেই অনুমোদন দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে বাকি নেই। কিন্তু এটা খুবই শকিং যে ক্যাগের মতো অফিসের তরফে এমন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
এই ধরনের ভুলে ভরা রিপোর্ট দিলে একটা বিভ্রান্তিকর ছবি তৈরি হবে। আর এটা কিছু মানুষ মিথ্য়ে উদ্দেশ্য নিয়ে সরকারি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। তবুও অডিট রিপোর্ট প্রতি বছর হয়। কিন্তু গত প্রায় ২০ বছর ধরে এই রিপোর্ট কেন দেওয়া হয়নি সেটাই আশ্চর্য লাগছে।