সরকারি খরচে ‘পিএম-সূর্যোদয় যোজনা’র আড়ালে নিজের জনপ্রিয়তা মাপবেন মোদী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সরকারি অর্থে নিজের পক্ষে জনমতের অবস্থা কেমন তা মেপে নিতে চাইছেন মোদী? শুরু হচ্ছে নয়া প্রকল্প। তা ঘিরেই এমন জল্পনা ছড়িয়েছে। প্রকল্পের নাম পিএম-সূর্যোদয় যোজনা, কারা এই প্রকল্পে উৎসাহী, তা জানতে সমীক্ষা শুরু করছে মোদী সরকার। ভারতীয় ডাক বিভাগের কর্মীদের নামানো হচ্ছে কাজে। তারা এবার মোদীর ছবি দেওয়া লিফলেট নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাবেন।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাঁচ প্রশ্নের জবাব চাওয়া হবে।
১)পিএম-সূর্যোদয় যোজনায় সৌর প্যানেল বসাতে আগ্রহী কি?
২)সিমেন্টের ছাদ নাকি অন্য কোনও জায়গা
৩) গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার
৪) বর্তমানে কে দিচ্ছে বিদ্যুৎ
৫)কনজিউমার নম্বর।
ডাক কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। ভার্চুয়াল ট্রেনিং চলছে। কিন্তু কারা বসাবে সৌর প্যানেল? রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন কারা? তা স্পষ্ট নয়। অনেকেই বলছেন, সরকারি সমীক্ষার আড়ালে নরেন্দ্র মোদী ‘কৌশলে’ নিজের জনমত দেখে নিতে চাইছেন। মোদীর ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারে, ফলাও করে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ যোজনা বলা হলেও আদতে তা হচ্ছে না। গ্রাহকের পকেট থেকে টাকা খরচ হবে। সরকার নামমাত্র ভর্তুকি দেবে।
বাড়ির ছাদে ১-২ কিলোওয়াটের সৌর প্যানেল বসালে ভর্তুকি মিলবে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। ২-৩ কিলোওয়াটের সৌর প্যানেলের ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৭৮ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ভর্তুকি ৭৮ হাজার টাকা, গ্রাহককে সৌর প্যানেল বসানোর বাকি খরচ দিতে হবে। জানা যাচ্ছে, সূর্যঘর প্রকল্পে ১ লক্ষ ৩০ হাজার থেকে দু লক্ষ টাকা খরচ হবে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এক কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সৌর প্যানেল বসাতে বাজার দর ৬০-৬৫ হাজার টাকা। তিন কিলোওয়াটের জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। তাহলে সরকারি প্রকল্পে খরচ বেশি কেন?
তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, বিজ্ঞাপনী চমক ছাড়া সূর্যঘরে আমজনতার বিশেষ লাভ নেই। ঝড়বৃষ্টি প্রবণ এলাকায় তো নয়ই। অনেকেই বলছেন, লোকসভা ভোটের আগে কতজন মোদীর পাশে আছেন, তা দেখে নিতে চাইছে বিজেপি সরকার।