Farmers Protest: সামাধানসূত্র না মেলায় কাল থেকে ফের আন্দোলনে নামছেন ‘অন্নদাতা’রা, কপালে ভাঁজ মোদী সরকারের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই আপাতত জোর দিচ্ছে তাদের আগামী কর্মসূচীর উপর। এরই মধ্যে দেশে সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগেই আবার এক দফা কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের মাঝে শাম্ভু সীমান্ত-সহ রাজধানী দিল্লির প্রান্তে টিকরি বা সিঙ্ঘু সীমানা গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি থেকে বারে বারে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কৃষকদের ডাকা ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের জেরে।
আন্দোলনকারী কৃষক ও সরকারের মধ্যে চতুর্থ দফার বৈঠকে আগামী পাঁচ বছর পাঞ্জাবের কৃষকদের থেকে ডাল, ভুট্টা ও তুলো ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনার প্রস্তাব দিল কেন্দ্র। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তবে কৃষকদের অন্য দাবিগুলি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যদিও এরপরেও জটিলতা কাটার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ২১ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ আগামী কাল থেকে থেকে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হবেও বলে জানি দিয়েছে বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলি।
রবিবারের বৈঠকের পর নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য দু’দিন সময় চেয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি। পাঞ্জাব কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারভন সিং পান্ধের বলেছেন, ‘কেন্দ্রের প্রস্তাব নিয়ে আমরা আগামী দু’দিন আলোচনা করব। আমাদের অন্য দাবিগুলি নিয়েও সরকারের বিবেচনা করা উচিত। যদি মনে হয়, আমাদের দাবি মানা হচ্ছে না, তাহলে আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের দিল্লি চলো অভিযান শুরু করব।’
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষকদের ডাকা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের কৃষকদের দুটি বড় সংগঠন ‘সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা’ এবং ‘কিষাণ মজদুর মোর্চা’। এদের আওতায় পাঞ্জাব, হরিয়ানা আর উত্তরপ্রদেশের সাড়ে তিনশো ছোট-বড় কৃষক সংগঠন রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন কৃষক ও মজদুর সংগঠনও তাদের সমর্থন জানিয়েছে এই আন্দোলনে।
এই আন্দোলনের মূল দাবিগুলো হল ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা (এমএসপি), কৃষি ঋণ মকুব এবং স্বামীনাথন কমিশনের সমস্ত সুপারিশ বাস্তবায়ন, পুলিশ মামলা প্রত্যাহার এবং লখিমপুর খেরি সহিংসতার শিকারদের জন্য ন্যায় বিচারের জন্য আইনি গ্যারান্টি ইত্যাদি।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য বিজেপি সরকার যখন সচেষ্ট, সেই পরিস্থিতিতে এই আন্দোলন নরেন্দ্র মোদীর সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।