খলিস্তানি বিতর্ক: সরব অমৃতসরের গুরুদ্বারের সভাপতি, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য পুলিশ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পাগড়ি পরিহিত এক শিখ পুলিশ অফিসারকে খলিস্তানি মন্তব্য করায় চরমে উঠেছে বিক্ষোভের আগুন, অভিযোগের তীর বিজেপির বিরুদ্ধে। রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানান, এহেন মন্তব্য অসংবেদনশীল, প্ররোচনামূলক এবং ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেছে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের ক্ষেত্রে কী আইনি বিধান রয়েছে, তা-ও উল্লেখ করেন তিনি। সুপ্রতিম বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫(এ) ধারায় আইনত পদক্ষেপ করা হবে। এই ধরনের মন্তব্য ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করে। তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।
প্রসঙ্গত, ধামাখালি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় বিজেপি বিধায়ক এবং কর্মী-সমর্থকদের। অভিযোগ, সে’সময়ই কর্তব্যরত পাগড়িধারী আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিংহ (এসএস-আইবি)-র উদ্দেশ্যে; ‘খলিস্তানি’ মন্তব্য উড়ে আসে বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে। অভিযোগ উঠেছে, মন্তব্য করেছেন অগ্নিমিত্রা। তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা যায় যশপ্রীতকে। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দৃষ্টিভঙ্গি।
এই অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, শিরোমণি অকালি দলের সাধারণ সম্পাদক বিক্রম সিং মাজিথিয়া, শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির প্রধান হরজিন্দর সিং ধামি-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। বিভিন্ন শিখ সংগঠন বঙ্গ বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। অমৃতসরের শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির প্রধানের কথায়, বিজেপি নেতারা শিখ পুলিশ অফিসারের চরিত্র ইচ্ছাকৃতভাবে হনন করেছে। এটা নিন্দনীয়। দেশের স্বাধীনতা ও সুরক্ষার জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ করেছেন শিখরাই—সেটা বিজেপির মনে রাখা উচিত।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেন, ‘একজন বিজেপি নেতা বাংলার এক শিখ আইপিএস অফিসারকে দেশবিরোধী বলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সম্ভবত বিজেপি জানে না যে পঞ্জাবিরা আজ পর্যন্ত দেশকে স্বাধীন করতে এবং স্বাধীনতা রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। বিজেপির উচিত পাঞ্জাবিদের ধন্যবাদ দেওয়া, ক্ষমা চাওয়া উচিত।’