অ্যান্টিবায়োটিক নিদানের গাইডলাইনে খামতি? কী বক্তব্য ডিস্ট্রিবিউটর্সদের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করে হচ্ছে। চিকিৎসকদের জন্য নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ওষুধ ব্যবসায়ীদের মতে, নির্দেশিকা অসম্পূর্ণ। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের নানানদিক খতিয়ে দেখা উচিত ছিল। ব্যবসায়ীরা ড্রাগ কন্ট্রোলের দ্বারস্থ হয়েছেন। অল ইন্ডিয়া কেমিস্টস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশন, ডিরেক্টরেট অব ড্রাগ কন্ট্রোল এবং রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে।
সদ্য জারি করা নির্দেশিকাতে, বহুল ব্যবহৃত ৫০টি অ্যান্টিবায়োটিকের (Antibiotic) ব্যবহার সম্পর্কে বলা হয়েছে। প্রায় ৩০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের আগে লিখিত কারণ জানাতে বলা হয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, সরকারের পদক্ষেপ প্রশংসনীয় কিন্তু কিছু খামতি থাকছেই। নির্দিষ্ট মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া জরুরি। কিন্তু নির্দিষ্ট মাত্রাটি কী? সংগঠনের বক্তব্য, চিকিৎসক ভেদে একই অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ বদলায় কেন। কোনটি গ্রহণযোগ্য?
সংগঠনের মতে, বহু পুরনো প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে আজও ওষুধ কেনা হয়। ই-ফার্মেসি পোর্টালে এমন প্রবণতা বেশি। যার নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। অ্যান্টিবায়োটিকে নিয়ন্ত্রণ আনতে হলে ওষুধ কোম্পানিগুলিতেও নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি। বহু ওষুধের ক্ষেত্রে বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিচ্ছে ওষুধ সংস্থা। সেক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কোথায়? প্রশ্ন ওষুধ ব্যবসায়ীদের।