রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সালকিয়ায় শীতলা মায়ের ঐতিহ্যবাহী স্নানযাত্রা দেখতে ভিড় অগুণতি ভক্তের

February 24, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীতলা মায়ের স্নানযাত্রা। স্থানীয়দের কাছে দেবী পরিচিত এবং পূজিত হন বড়মা নামেই। প্রতিবছর মাঘী পূর্ণিমায় এই বড়মায়ের স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে জমজমাট হয়ে ওঠে গোটা উত্তর হাওড়া (Howrah)। এবছরও স্নানযাত্রাকে কেন্দ্র করে জমজমাট উত্তর হাওড়ার সালকিয়া।

শুক্রবার সকাল থেকেই তৎপর ছিল পুলিস প্রশাসন। লক্ষাধিক মানুষের ভিড়ে ঢেকে গিয়েছিল সালকিয়ার রাজপথ। শীতলা পুজোর আগের দিন দেবীকে বিশেষভাবে কাঁধে তুলে পরিক্রমা করেন পুণ্যার্থীরা। বছরের পর বছর ধরে এই রেওয়াজ চলে আসছে। শীতলাপুজোর আগের দিন, শুক্রবার তাই দুপুর থেকে দণ্ডী কাটা, স্নান করার যেমন ভিড় ছিল, তেমনই পুণ্যার্থীদের শোভাযাত্রা দেখতেও ভিড় ছিল নজরকাড়া।

আড়াইশ বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি। শীতলা মায়ের ঐতিহ্যবাহী স্নানযাত্রা দেখতে রাস্তার ধারে প্রতিবছরই ভিড় করেন অগুণতি ভক্ত। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। কোনওরকম অশান্তি যাতে না হয় তাই চতুর্দিকে কড়া নজরদারি চলছে পুলিশ প্রশাসনের। বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে পুলিশ পোস্টিং করা হয়েছে।

একদা সাত শীতলার (Shitala Maa) পুজো বা সাত বোনের পুজো দিয়ে স্নান উৎসব শুরু হয়েছিল। কালচক্রে বেড়েছে পুণ্যার্থীদের ভিড়। হাওড়ার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি ভিড় জমান বাইরের জেলার মানুষও। কেমন করে হয় স্নানযাত্রা? (Snan Yatra) পুণ্যার্থীরা জানিয়েছেন, উপবাস থাকতে হয়। দণ্ডী কেটে নদীতে গিয়ে স্নান করে শীতলাদেবীকে নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়। পুজোর পরে উপবাস ভঙ্গ করা হয়। স্নানযাত্রার বিশেষ এক রীতিও আছে। যেমন স্নান সেরে পরতে হয় নতুন জামাকাপড়, তেমনই রাখতে হয় নতুন গামছাও। প্রতিমা নিয়ে ফেরার সময় সার বেঁধে পুণ্যার্থীরা আসেন। সেটাই শোভাযাত্রা। শুক্রবার দুপুর ৩টে থেকে পরের দিন ভোররাত পর্যন্ত শোভাযাত্রা চলেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #howrah, #salkia, #shitala maa

আরো দেখুন