← স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় শিশুদের কোন কোন অসুখের ঝুঁকি থাকছে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিদায় নিচ্ছে শীত। আর এমন ঠান্ডা-গরম আবহাওয়াতেই ছোটদের শরীরে সিঁধ কাটছে অ্যাজমার মতো জটিল অসুখ। শুধু তাই নয়, গলা ব্যথা, চোখ লাল, চোখ থেকে জল ঝরা, চোখে পিচুটি কাটা, অতিরিক্ত কাশি-সর্দি, কিছু ক্ষেত্রে ৭-১০ দিনের বেশি কাশি-সর্দি স্থায়ী হচ্ছে, রোগ সারলেও শুকনো কাশি পিছু ছাড়তে চাইছে না, কাশির সঙ্গে কখনও কফ থাকছে, খুব ছোট বাচ্চারা কাশতে কাশতে বমিও করে ফেলছে, অনেক বাচ্চারই খাবারে অরুচি হচ্ছে।
তাই এই পরিস্থিতিতে সাবধান হওয়া ছাড়া গতি নেই। বিশেষত, প্রত্যেক বাবা-মাকে এই সময় সাবধান হতে হবে। তাহলেই আপনারা ছোট্ট সোনাকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন।
২ বছরের কম বয়সি কিছু বাচ্চার বেশ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তখন অবস্থা বুঝে ভর্তির দরকার পড়ছে।
কি করবেন :
- বাড়ির বাইরে থাকাকালীন সময়ে মাস্ক জরুরি। ভিড়ভাট্টা থেকে দূরে রাখুন। অসুস্থ বাচ্চার থেকে সুস্থ সরিয়ে রাখুন। হাত ধোয়া বা হ্যান্ড হাইজিন মানতে হবে। যেন নাকেমুখে বারবার হাত না দেয়। বছরে একবার করে ফ্লু ভ্যাকসিন নিলে অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকা যায়।
চিকিৎসা :
- প্রধান চিকিৎসা প্যারাসিটামল। কিছু বাবা-মা বলছেন, প্যারাসিটামল দিলেও তেমন জ্বর কমছে না। তা সত্ত্বেও ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর চালাতে হবে। অসুস্থ বাচ্চা জলপান, খাওয়াদাওয়া সবই কমিয়ে দেয়। কিছু বাচ্চা বন্ধই করে দেয়। বমি হতে থাকে। ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা থাকে। ডায়ারিয়া হয়ে ফের হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। তাই বারবার জল বা ওআরএস কিংবা স্যুপ অথবা ডাবের জল দিন।
- ৫-৭ দিন ওষুধ দিলেই সমস্যাগুলি ধীরে ধীরে কমে। কিছুক্ষেত্রে ভাইরাসের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও ঘটে। এমন ক্ষেত্রে ২-৩ দিনের বেশি উপসর্গ স্থায়ী হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।