ডাকঘরে লাইন দেওয়ার দিন শেষ! এক ফোনেই পার্সেল ডেলিভারি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পার্সেল বুকিং চালু করছে ডাকবিভাগ, উদ্দেশ্য একটাই! প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা। পার্সেল বুকিংটা ঠিক কী? কোনও ব্যক্তি যদি পার্সেল পাঠাতে চাইলে, ডাকঘরে না গিয়েও এলাকার ডেলিভারি ভ্যানে পণ্যটি তুলে দিতে পারেন। হেল্পলাইনে ফোন করে ‘পার্সেল বুক’ করা যাবে। গ্রাহকের দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছে যাবেন ডাক বিভাগের কর্মীরা। বাড়ি থেকে সংগ্রহ করবেন পার্সেল। পরিষেবার জন্য মূল্য নেওয়া হবে সেখানেই। এই পদ্ধতিতে স্পিড পোস্ট পার্সেল এবং রেজিস্টার্ড পোস্ট পার্সেল ‘বুক’ করা যাবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা ও শহরতলিতে ডেলিভারি ভ্যানের মাধ্যমে পরিষেবা শুরু হয়েছে।
ডাক বিভাগ সূত্রে খবর, কলকাতা বা শহরতলি নয়, বাংলার সর্বত্র এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। পার্সেল হেল্পলাইন নম্বর হল, ৯৪৩৩১৬৫০৫০। সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত রাজ্যের যেকোনও প্রান্ত থেকে পার্সেল বুক করা যাবে। গ্রাহকের উল্লেখ করা ঠিকানায় পৌঁছে যাবেন নিকটবর্তী ডাকঘরের কর্মী এবং পার্সেলটি সংগ্রহ করবেন। ডাক কর্তাদের মতে, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি। যাঁরা বাড়িতে বসে ছোট আকারের ব্যবসা চালু করেছেন, তাঁরাও উপকৃত হবেন। অনেকগুলো পণ্য দূরে কোথাও পাঠাতে আর ডাকঘরে যেতে হবে না। কেবল দেশে নয়, বিদেশে পার্সেল বা স্পিড পোস্টের সুবিধাও থাকবে।
বিমানে যাতায়াতকারীরাও নতুন পরিষেবার সুবিধা পাবেন। একাধিক উড়ান সংস্থায় ‘লাগেজ’ নিয়ে যাওয়া খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। হ্যান্ডব্যাগেজের ক্ষেত্রেও নানা শর্ত আরোপ করে কোনও কোনও সংস্থা। যাত্রীদের জন্য এগিয়ে এসেছে ডাক বিভাগ। কলকাতা বিমানবন্দরে একটি ডাকঘর রয়েছে, যেখানে নিজের লাগেজ জমা করতে পারবেন বিমান যাত্রীরা। হেল্পলাইনে ফোন করামাত্র ডাক বিভাগের কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বিমানবন্দরে। পার্সেল হিসেবে গ্রহণ করে এবং সেইমতো দাম নেওয়া হবে। যাত্রী তাঁর গন্তব্যে পৌঁছবেন। তাঁর পার্সেলটিও দ্রুত নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। এই পরিষেবার বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী ডাক বিভাগ।