প্রতারণার চক্র! তারকাদের স্বর নকল করে ঠকানোর কারবার শহরের বুকে?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: কখনও দীপিকা পাডুকোন আবার কখনও আলিয়া ভট, রুপোলি পর্দার তারকাদের কণ্ঠস্বর নকল করে চলছে লোক ঠকানোর কারবার। শহরের বুকে এভাবে স্বর নকল করে বন্ধুত্বের টোপ যাচ্ছিল কলকাতাবাসীর কাছে। ফাঁদে পা দিলেই আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে হত। তদন্তে প্রতারণা চক্র ফাঁস করল কলকাতা পুলিশ।
তদন্তকারীরা টালিগঞ্জের অশোকনগরের এক ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ পেয়েছেন। বন্ধুত্বের টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পাঁচ মহিলা-সহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়তি শাখা। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা এখনও পলাতক। অভিযুক্তদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক পুলিস হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের থেকে তিনটি ডায়েরি ও ১৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত মোবাইলগুলি থেকে তথ্য জরুরি তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
ফোনগুলো থেকে সম্ভাব্য ‘শিকার’দের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হত। অভিনেত্রীর আপ্তসহায়ক বলে পরিচয় দেওয়া হত। তারপর অভিনেত্রীদের সঙ্গে কথা বলার টোপ দেওয়া হত শিকারদের। হুবহু দীপিকা, আলিয়া বা কৃতির কণ্ঠস্বরে ‘শিকার’দের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ কলে কথা বলতেন মহিলারা। এরপরই যেত ডেটের প্রস্তাব। পাঁচতারা হোটেলে অ্যাপয়ন্টমেন্ট ঠিক হত।
কিছু মহিলা টাকা দিতে রাজি করানোর দায়িত্বে ছিলেন। ফি মাসে তাঁরা মাইনে পেতেন। তদন্তে উঠে এসেছে, প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা মাইনে পেতেন মহিলারা। কল সেন্টারের দুই ‘ম্যানেজার’ তাঁদের নিয়োগ। স্বপন দে ও শিবশঙ্কর মাহাতো নামের ধৃত দুই যুবককে জেরা করছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের কাজ ছিল গলা নকল করতে পারেন এমন মহিলা টেলিকলার জোগাড় করা। প্রতারিত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা ছিল তাঁদের দায়িত্ব। উদ্ধার হওয়া ডায়েরি থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাতে পাতার পর পাতায় বহু মোবাইল নম্বর লেখা রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।