কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং আধার বাতিল নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে ECI-র দ্বারস্থ TMC
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের প্রতিনিধিদল। এই সংসদীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন সুখেন্দু রায়, প্রতিমা মণ্ডল, দোলা সেন, সাজাদ আহমেদ ও সাকেত গোখলে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে স্মারকলিপিও জমা দিলেন তাঁরা।
গত বেশ কিছু দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বহু মানুষের কাছ থেকে আধার কার্ড বাতিল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগও এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচয়পত্র বাতিল হলে যে কোনও সরকারি সুবিধা থেকে মানুষ বঞ্চিত হবেন বলে আমজনতার সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন তিনি। আবেদন জানান সমাধানের। সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে বাংলায় প্রায় ১৫০০ কোম্পানি আধাসেনা আসছে বলে খবর। ভোট ঘোষণার আগে, ১ মার্চ থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকতে শুরু করবে। আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।
স্মারকলিপিতে উঠে এসেছে চোপড়ার শিশুমৃত্যুর প্রসঙ্গ। সেখানে ধস নেমে মৃত্যু হয় চার শিশুর। বিএসএফ সেখানে নালা সম্প্রসারণের কাজ করছিল। সেখানেই ধস নেমে মৃত্যু হয়েছে শিশুগুলির। এই নিয়েও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তৃণমূল। স্মারকলিপিতে আঙুল তুলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফের দিকে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১০০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রসঙ্গও তৃণমূল তুলেছে স্মারকলিপিতে। জানিয়েছে, সে সময় বাহিনীর রুট মার্চের সময় আতঙ্কিত হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল শীতলকুচিতে চার জনের মৃত্যুর প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। এ বিষয়ে সিআইএসএফের দিকে আঙুল তুলেছেন নেতৃত্ব। স্মারকলিপিতে লিখেছেন, ‘প্ররোচনা’ ছাড়াই গুলি চালানো হয়েছিল। তাঁদের আর্জি, আসন্ন লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে আইন মেনে কাজ করে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করুক জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের উদ্দেশে লেখা স্মারকলিপিতে জেলা গোয়েন্দা কমিটির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে গঠিত জেলা গোয়েন্দা কমিটিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়েরই তদন্তকারী সংস্থার সদস্যেরা থাকেন। পুলিশ, আয়কর দফতর, শুল্ক, জিএসটি, ইডি আধিকারিকেরা থাকেন ওই কমিটিতে। এ বার সেই কমিটিতে ইডির ভূমিকা নিয়েই স্মারকলিপিতে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল।