কেন্দ্র না দিলেও ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দিতে শুরু করেছে রাজ্য, খুশির হাওয়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দেওয়া শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। কেন্দ্র দেয়নি। তাই রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। বাংলার ২১ লক্ষ মানুষ যারা ১০০ দিনের টাকা পাননি, তাঁদের বকেয়া মেটাবে রাজ্য। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ধর্না মঞ্চ থেকে সেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রাথমিকভাবে ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১ মার্চ করা হয়। রবিবার সরকারি নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছিল, সোমবার থেকে সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরি পাঠানো শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই টাকা মেটানো শুরু করে দিয়েছে নবান্ন (Nabanna)।
দীর্ঘদিন ধরেই ১০০ দিনের বকেয়া টাকার (100 days work) জন্য অপেক্ষা করছিলেন কোচবিহার-২ ব্লকের আমবাড়ির গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষবাথানের রামপ্রসাদ রায় ও তাঁর পরিবার। অবশেষে সোমবার তাঁর পরিবারে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা ঢুকল। তাঁর স্ত্রী মিঠু রায়ের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। রামপ্রসাদবাবুর বড় মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। টিউশনের টাকা জোগাড় করতে দরিদ্র পরিবারটির কষ্ট হচ্ছিল। ফলে টাকা পাওয়ায় রায় দম্পতির মুখে এখন চওড়া হাসি। মেয়ের পড়াশোনার কাজে টাকাটা লাগানো হবে বলে জানান মিঠু রায়।
আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের শালকুমার-২ পঞ্চায়েতের দক্ষিণপাড়ার সঞ্জিত রায়ের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। মেসেজ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ওই শ্রমিক। তিনি বলেন, এদিনই ব্যাঙ্ক থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা ঢোকার মেসেজ পেয়েছি। বকেয়ার তিন হাজার টাকা ঢুকেছে। কেন্দ্র টাকা না দিলেও মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা ছিল, আজ হোক কাল হোক টাকা পাবই।
জলপাইগুড়ির অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোমস্তাপাড়ার বাসিন্দা নরেন দে বলেন, ২০২১ সালের পর থেকে ১৪ দিনের কাজের টাকা বকেয়া ছিল। প্রথম ধাপে ১০৬৫ টাকা টাকা পেলাম। আমরা খুব খুশি। এলাকারই বাসিন্দা চন্দনা কর বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১০৬৫ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।
কোচবিহার জেলায় ১০০ দিনের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মামুন আখতার বলেন, প্রথমদিন ৭১ হাজার ৩৮৫ জনের অ্যাকাউন্টে ৩১ কোটি ৪৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪২৭ টাকা পাঠানো হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের ডিএম আর বিমলা বলেন, জেলায় শ্রমিকদের জন্য ১৫৬ কোটি ৩৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮৫৫ টাকা ঢুকেছে। জলপাইগুড়ি জেলার অরবিন্দ, বারোপাটিয়া সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় খুশির মেজাজ।