যেন হলিউড সিনেমা ‘আনস্টপেবেল’-এর চিত্রনাট্য! ঝড়ের গতিতে ছুটে চলল চালকহীন পণ্যবাহী ট্রেন, প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঠিক যেন ২০১০ সালের হলিউড সিনেমা ‘আনস্টপেবেল’-এর চিত্রনাট্য! রবিবার সাতসকালে পাঞ্জাবে প্রায় ৭০ কিলোমিটার রেলপথ ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে যায় একটি পণ্যবাহী ট্রেন। সেটিতে ছিলেন না কোনও চালক, সহ-চালক এবং গার্ড! না, কোনও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এমন বেনজির কাণ্ড ঘটায়নি ভারতীয় রেল। পুরোটাই হয়েছে ‘দুর্ঘটনাবশত’। আর তার অভিঘাত এত বেশি ছিল যে, চালকবিহীন মালগাড়ির গতি উঠে যায় ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার। ফলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা যে ঘটতে পারত, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম মেনে পাঞ্জাবের পাঠানকোট স্টেশনে দাঁড়ায় মালগাড়িটি। সেখানে চালক ট্রেন থেকে নেমে যান। ট্রেনের ইঞ্জিন চালু ছিল। চালক ইঞ্জিন ছেড়ে চলে যেতেই ট্রেনটি চলতে শুরু করে। খানিক বাদেই লাইনের ঢাল ধরে গড়াতে থাকে গাড়িটি। ধীরে ধীরে গতি বাড়তে থাকে। ১০০ কিমি বেগে কাঠুয়া স্টেশন ছেড়ে মালগাড়িটি একের পর এক স্টেশন পেরোতে শুরু করে। কোনও কিছু বোঝার আগেই মালগাড়িটি পাঁচটি স্টেশন পেরিয়ে চলে যায়। যা বুঝতে পেরে যে কোনওভাবে ট্রেনটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন রেল আধিকারিকেরা।
পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের কাছে উঁচি বাসিতে যখন সেটিকে ‘নিয়ন্ত্রণে’ আনা সম্ভব হয়, তখন সকাল প্রায় ৯টা। অর্থাৎ, প্রায় দেড় ঘণ্টা পর। সূত্রের খবর, লাইনে পরপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে মালগাড়িটির গতি কমানো হয়। তারপর কিছু মেকানিক্যাল পদ্ধতি প্রয়োগ করে এমার্জেন্সি ব্রেকের সাহায্যে কোনওমতে সেটিকে থামানো হয়। রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু কর্ণপাত করেনি মোদী সরকার। রবিবারের ঘটনায় ফের ভারতীয় রেলে ভয়ংকর গাফিলতির অভিযোগ উঠল।