চার বছর অন্তর যখন আসে জন্মদিন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২৯ ফেব্রুয়ারি কারও কাছে দুঃখের, আবার কারও কাছে ধুমধাম করে উদযাপন করার দিন। কারণ এই দিনে বহু মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন। কিন্তু, তাদের জন্মদিন আসে প্রতি চার বছর অন্তর। যে কারণে এই দিনটা তাদের কাছে খুবই স্পেশাল। ৩৬৫-এর জায়গায় ৩৬৬ দিনে শেষ হয় বছর। যাকে বলে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ।
প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্বকাপ যদি উপভোগ করা যায়। তাহলে প্রতি চার বছর অন্তর জন্মদিন কেন বড় করে উদযাপন হবে না! এদিন যাঁদের জন্ম বা বিবাহবার্ষিকী বা জীবনের বিশেষ দিন, সেসব মানুষের লিপ ইয়ার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দে’জ পাবলিকেশনের প্রকাশক শুভঙ্কর দে যেমন বলেন, ‘জন্মদিনের দিন অনেক বন্ধুবান্ধব খাওয়ানোর কথা বলেন। আমি তাঁদের বলি, আমার তো খুব দুঃখ। চার বছরে একবার আসে জন্মদিন। তাই তিন বছর আমি খাব আর একবছর আমি খাওয়াব।’ আবার বাংলারই এক লেখক জয়ন্ত দে বলেন, ‘মা থাকতে, ২৯ ফেব্রুয়ারি নয় আমার জন্মদিন পালন হতো ১৬ ফাল্গুন। অর্থাত্ প্রতিবছরই পায়েস।’ যাঁদের এদিন জন্ম তাঁদের অনেকে ছোটবেলায় ‘দেরিতে আসে দিনটা’, বলে ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করে কাঁদত। বড় হয়ে কেউ মনে করে তারা এদিক দিয়ে একটু স্পেশালই। তাই চট করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের জন্মদিনটা সবার মনে চলে আসে। কারণটা কিন্তু ওই-লিপ ইয়ার। ২৯ তারিখ জন্মদিন এই রাজনীতিবিদের।
তবে শুধু তো জন্মদিন বা বিশেষ কোনও দিন নয়। বছরের অন্যান্য দিনের মতো ২৯ তারিখও এবছর একটা কর্মদিবস। তা নিয়েও রয়েছে বিবিধ প্রতিক্রিয়া। যেমন ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত একটা দিন পাওয়ায় খুশি। বড়বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভালোই তো। একটা দিন এক্সট্রা পাওয়া মানে, বেশি ব্যবসা হল।’ সেলসম্যানরাও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে একটা দিন বেড়ে গেলে খুবই ভালো হয়। সেলস টার্গেটে পৌঁছনোর জন্য একটা দিন বেশি পাওয়া যায়।’