হৃদরোগে মৃত দু’জনের মধ্যে একজনেরই বয়স ৪০’এর নীচে
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2024/02/heart-attack-3-1024x576.jpg)
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মাত্র ৪০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। অথচ তিনি নাকি ছিলেন ফিটনেস ফ্রিক। পরিচিতদের কথায়, জিম খোলার আগেই তার দুয়ারে পৌঁছে যেতেন সিদ্ধার্থ। এমন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষটা এভাবে চলে গেলেন। ‘শকিং!’, খবর শোনার পর এমনই প্রতিক্রিয়া ছিল নেটিজেনদের। সিদ্ধার্থের মৃত্যু যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনও বয়স হয় না।
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা মনে করছেন স্ট্রেস ও অনিয়মিত জীবনযাপনই সিদ্ধার্থের হৃদরোগের অন্যতম কারণ। এমনটা আপনার ক্ষেত্রেও তো হতে পারে!
বাস্তবটা হল, পরিযায়ী শ্রমিক বা তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী, চিকিৎসক বা সেলিব্রিটি—হার্ট অ্যাটাক এখন আঁকড়ে ধরেছে যুবক-যুবতীদের। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার আগে হার্ট অ্যাটাকের শিকার যাঁরা হতেন, তাঁদের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছিলেন অল্পবয়সিরা। বিশ্বব্যাপী মহামারীর পর পরিস্থিতি আমূল বদলেছে। কার্ডিওলজিস্টরাই বলছেন, এখন প্রতি তিনটি হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে একটি পয়তাল্লিশের নীচে। আর যদি সাড্ন কার্ডিয়াক ডেথ বা হৃদরোগে আকস্মিক মৃত্যুর হিসেব নেওয়া যায়, তাহলে এমন প্রত্যেক দু’টি মৃত্যুর একটির শিকার যুব সম্প্রদায়। বয়স? ৪০’এর নীচে। চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন। কারণ, সিংহভাগ সাড্ন কার্ডিয়াক ডেথ-এর ক্ষেত্রেই তাঁরা চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না। ইমার্জেন্সিতে আনা হচ্ছে মৃত অবস্থায়। করোনা পরবর্তী সময়ে কেন হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত অল্পবয়সিদের মৃত্যু এভাবে বেড়ে গেল? সেই রহস্যের কিনারা এখনও করে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জেন ডাঃ সত্যজিৎ বসু বলেন, ‘প্রতি ১০০টি হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে ৪০টির ক্ষেত্রেই এখন শিকার হচ্ছেন কম বয়সিরা। সাড্ন কার্ডিয়াক ডেথও হু হু করে বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘অল্পবয়সিদের হার্ট অ্যাটাক বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল, জিন বা পারিবারিক ইতিহাস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস এবং অবশ্যই খাদ্য বা পানীয়ে চিনি দিয়ে খাওয়াদাওয়া।’