ভোটে জিতলেও প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি, BJP সাংসদের কাছে কৈফিয়ত তলব ভুক্তভোগীদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোট জেতা হয়ে গিয়েছে, এলাকায় আর পা পড়েনি বিজেপি সাংসদের। পূরণ হয়নি প্রতিশ্রুতি। এবার জন বারলার কাছে কৈফিয়ত চাইল আলিপুরদুয়ারবাসী। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের (Alipurduar 1) দুই পঞ্চায়েত, পররপার ও তপসিখাতা। মাঝে রয়েছে কালজানি নদী। গত লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে জন বারলা (John Barla) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে তিনি পাকা সেতু করে দেবে। বারলা জেতেন, কিন্তু আজও পাকা সেতু হয়নি। স্থানীয়রা বলছেন, ভোটে জেতার পর বারলার আর দেখা মেলেনি। কেন সেতু হল না? ভোটের আগে কৈফিয়ত চাইছেন আম জনতা।
কালজানির একদিকেও পররপার গ্রাম পঞ্চায়েত, নদীর ওপারে তপসিখাতা। জেলা সদর থেকে তপসিখাতা পঞ্চায়েতের দূরত্ব ১৪ কিমি। বর্ষায় নদী পারাপারে ভরসা বাঁশের সাঁকো। বর্ষায় কালজানির জল বেড়ে গেলে ভেঙে যায় সাঁকো। স্থানীয়দের কথায়, বর্ষায় বনচুকামারি পঞ্চায়েতের ঘাঘরা হয়ে ২৫ কিমি পথ ঘুরে সদরে যেতে হয় তাঁদের। কালজানিতে পাকা সেতু হলে তপসিখাতার বাসিন্দাদের জেলা সদর আসতে ১৪ কিমি পথ পেরোতে। সেতু না থাকায় তপসিখাতার মানুষজন আলিপুরদুয়ার কৃষক বাজারেও ফসল বেচতে যেতে পারেন না।
এলাকার মানুষদের সাফ অভিযোগ, উনিশে লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে জন বারলা বলেছিলেন জিতলে তিনি সেতু বানিয়ে দেবেন। কিন্তু, ভোটে জিতলেও সেতু আর হয়নি। ভোটে জেতার পর তিনি এলাকাতেই আসেননি বলে অভিযোগ উঠছে। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও কেন সেতু হয়নি জানতে চাইছেন তাঁরা। চব্বিশের ভোটে প্রচারে এলে সাংসদের কাছে তাঁরা কৈফিয়ত চাইবেন বলেও জানাচ্ছেন। তপসিখাতা-পাটকাপাড়া কালজানি সেতু নির্মাণ দাবি কমিটির সম্পাদক যোগেশচন্দ্র রায়ের কথায়, ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু, কালজানিতে সেতু (kaljani setu) হয় না।