নম্বরপ্লেট ছাড়াই জেলার বিভিন্ন সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মোটর সাইকেল কেটে বানানো ভ্যান!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোটর সাইকেল কেটে বানানো হচ্ছে ভ্যান! কাগজপত্র, নম্বরপ্লেট ছাড়াই সেই ভ্যান জেলার বিভিন্ন সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।
পুরনো মোটর সাইকেল (Motorcycle) একটু কাটাকুটি করে বানিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভ্যান। সেগুলি পণ্য নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যাত্রী পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। খরচ কম, লাভ বেশি। তাই বাইক কেটে তিন চাকার মোটর ভ্যান বানানোর কারবার চলছে রমরমিয়ে। টোটোর থেকে দাম কম হওয়ায় চাহিদাও প্রচুর।
এই ভ্যানগুলির (Motorcycle vans) নম্বর প্লেট নেই। চালকদের কাছে খোঁজ করে লাইসেন্সও মেলে না। তাছাড়া পুরনো বাইক হওয়ায় সেগুলি থেকে দূষণও ছড়াচ্ছে। ১৫-২০ বছরের পুরনো বাইক অনেকে বিক্রি করে দেন। মোটর ভ্যান তৈরির জন্য ১০-২০ হাজার টাকা দিয়ে সেই বাইকগুলিই কেনা হচ্ছে। কারখানায় নিয়ে গিয়ে প্রথমে মাঝ বরাবর কাটা হচ্ছে বাইক। খুলে ফেলা হচ্ছে পিছনের চাকা। মাল অথবা যাত্রী বহনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে লোহা অথবা কাঠের ফ্রেম। তাতে লাগানো হচ্ছে দুটি চাকা। ইঞ্জিনের সঙ্গে সেই ফ্রেম যুক্ত করে বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে মোটর ভ্যান। এই ভ্যান বানাতে খরচ হচ্ছে গড়ে ১৫ হাজার টাকা। ১ লিটার তেলে ৪০-৫০ কিলোমিটার ছুটছে সেই গাড়ি। মুলত পণ্য পরিবহণের জন্যই সেগুলি বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া দেখা যাচ্ছে, জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলিতে ৬-৮ জন করে যাত্রী নিয়ে ছুটছে মোটর ভ্যান।