রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বঙ্গবিভূষণে আদিবাসী সাহিত্যিক, খুশি জঙ্গলমহলবাসীরা

March 3, 2024 | < 1 min read

বঙ্গবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত সাহিত্যিক কালীপদ সোরেন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: খেরওয়াল সোরেন নামেই কালীপদ সোরেনকে বেশি মানুষ চেনেন। কারণ, এই নামেই দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যচর্চা করে আসছেন কালীপদ। লিখেছেন অসংখ্য নাটক। পড়াশোনা শেষ করেই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন কালীপদ সোরেন (Kalipada Soren)। প্রথম কর্মস্থান ছিল কলকাতায়। কিন্তু কলকাতায় থাকতে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তাই ১৪ বছরের মাথায় যখনই প্রথম বদলির সুযোগ এল, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সোজা ফিরে গেলেন ঝাড়গ্রামে। জঙ্গলমহলের সেই রূপ, সেই গন্ধ নিয়েই যে বেড়ে উঠেছেন তিনি। সেখানেই তাঁর মাটির টান। নাড়ির টানও। তাঁর চেনা সমাজের কথা, সাঁওতাল জীবনের নানা লড়াইয়ের কথা মানুষকে জানানোর ব্রত নিয়েছেন কালীপদ। আর সেই কাজ কি কলকাতা শহরে বসে হয়?

আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তি কালীপদ সোরেনকে বৃহস্পতিবার বঙ্গবিভূষণ সম্মানে (Padma Award) ভূষিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের তরফে তাঁর হাতে বঙ্গবিভূষণ সম্মান তুলে দেওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

কালীপদ সোরেনের পাশাপাশি গোরাচাঁদ মুর্মুকে কবি সারদাপ্রসাদ কিস্কু স্মৃতি পুরস্কার, সাহিত্য ক্ষেত্রে দুগাই টুডুকে সাধু রামচাঁদ মুর্মু স্মৃতি পুরস্কার, চারুকলা ও কারুশিল্প ক্ষেত্রে প্রসেনজিৎ মান্ডি ও যতীন টুডুকে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু স্মৃতি পুরস্কার, শিল্প মাধ্যমের ক্ষেত্রে নরেন্দ্রনাথ সোরেনকে লালশুক্লা ওঁড়াও স্মৃতি পুরস্কার, বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ক্ষেত্রে ডঃ সুভাষ হাঁসদাকে বিরসা মুণ্ডা স্মৃতি পুরস্কার, সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে লক্ষ্মী মান্ডিকে সিধু কানহো স্মৃতি পুরস্কার এবং সাহিত্য গবেষক সুনীলকুমার দাসকে মরণোত্তর সম্মাননা জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Literature, #Kalipada Soren, #Santhal, #Padma Award

আরো দেখুন