বইয়ের পাতা থেকে ভোটের ময়দান! টেনিদা এবার নির্বাচনের প্রচারে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভজহরি মুখুজ্যেকে মনে পড়ে? তিনি হলেন খাদ্যরসিক, ছেলে-ছোকরাদের হিরো, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি, পটলডাঙার টেনিদা। এবার তিনিই ভোটের ব্যাটেলে! পটলডাঙার টেনিদা লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করেছেন। নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন কলকাতা উত্তর নির্বাচনী জেলার ম্যাসকট হয়েছেন টেনিদা।
বাঙালির স্মৃতিতে মিশে রয়েছেন টেনিদার, নির্বাচনী আধিকারিকরা টেনির জনপ্রিয়তাকেই হাতিয়ার করছেন। দেওয়ালে দেওয়ালে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে টেনিদার হুকুম, ‘প্যালা পটল-শিঙি মাছের ঝোল তো এদ্দিন খেলি। এবার যা জীবনের প্রথম ভোটটা নির্ভয়ে দিয়ে আয়।’
আবার কোথাও টেনিদা আঙুল উঁচিয়ে বলছেন, ‘মনে রাখসি হাবুল, তোকে যেন কেউ রাবড়ি আর চমচম খাইয়ে ভোট না লুটে নেয়। ভোটাধিকার ভাগ হবে না।’ ক্যাবলার উদ্দেশ্যে টেনিদার বাণী, ‘বড় বড় কথা বলিস, অথচ ভোট দিতে তো যাস না। আমরা ভারতের ভোটদাতা। আমরা ভারতের নির্মাতা।’
টেনিদা হাতা গুটিয়ে হলুদ জামা পরেছেন, সঙ্গে ছাই রঙের বেলবটম প্যান্ট। পায়ে চপ্পল। টেরিও বাগিয়েছেন। হাতে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা, টেনিদা সমগ্র। মাঝে মধ্যে চিৎকার করছেন, ‘আমি পটলডাঙার টেনিদা বলছি। আমার ভোট, আমার অধিকার। সুবিধা আছে বুথে চল সবাই ভোট দিতে। ডি লা গ্র্যান্ডি মেফিস্টোফিলিস।’
নির্বাচনী আধিকারিকদের দাবি, কলকাতা উত্তর নির্বাচনী জেলায় কখনও ম্যাসকট নিয়ে প্রচার হয়নি। জানা গিয়েছে, বিগত নির্বাচনগুলিতে ওই লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল তুলনামূলক কম। বেশি সংখ্যক ভোটারকে বুথমুখী করতে টেনিদাকে হাতিয়ার করা হয়েছে। ভোটারদের উৎসাহীত করতে টেনিদাকে নিয়েও ছোট ছোট পথ নাটিকা করবে কলকাতা উত্তর নির্বাচনী জেলা। আশা করা হচ্ছে, টেনিদার উৎসাহে অনেকেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে সামিল হবেন।