লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের রাম-বাম জোট নিয়ে শুর হয়েছে জল্পনা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সিপিএম। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন গড়ের মাঠে। লাল পতাকার কর্মী সমর্থকদের ভিড় দেখে বিধানসভায় ভাল ফল করা নিয়ে বেশ আশাবাদী হয়ে পড়েছিলেন বাম কর্মী সমর্থকরা। তবে আশ্চর্যজনকভাবে, ভোটে সেই ভিড়ের প্রতিফলন দেখা যায়নি। অভিযোগ উঠেছিল বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে সিপিএম।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভায় সিপিএম একা লড়েনি। নতুন তৈরি হওয়া দল আইএসএফ এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে সংযুক্ত মোর্চা নাম দিয়ে লড়েছিল। কিন্তু তাতে ভোট বাড়া তো দূর, কার্যত শূন্য হয়ে যায় বামেরা। জোটের হয়ে একটি মাত্র আসন পেয়েছিল আইএসএফ। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলে থাকেন, লাল ঝান্ডার যে সমস্ত কর্মী সমর্থকরা চাননি সিপিএম কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে হাত মেলাক, তাঁরা সেই রাগেই ঢালাও ভোট দিয়েছিলেন বিজেপিকে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেও ফের রাম-বাম তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ছে। জনৈতিক মহলের দাবি, বামের ভোট রামে না মিশলে বিজেপিকে (BJP) খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফলে, বামেদের নিচুতলার কর্মীদের মতিগতি রাম-বাম দু’পক্ষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে কে বড় বিপদ, তা বোঝাতে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমেছে বাম নেতৃত্ব। পাড়া বৈঠক থেকে এরিয়া কমিটি— সর্বত্রই দেশের জন্য বিজেপি যে বড় বিপদ, তা বোঝানোর কাজ চলছে। সিপিএমের (CPM) হুগলি জেলার সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই আমাদের কর্মীরা দলকে মজবুত করতে সক্রিয় হয়েছে। তার ফলও মিলেছে। রাজ্যের জন্য তৃণমূল বিপদ, আর বিজেপি দেশের জন্য বৃহত্তর বিপদ। কেন্দ্রে সরকার গড়ার নির্বাচনে তাই হুগলিতে বামেদের শক্তিকে অগ্রাহ্য করা যাবে না। বামেদের ‘রক্তদান’-এর জন্যই বিজেপি ‘পুষ্ট’ হয়েছে, বিজেপি’র রাজ্যনেতা স্বপন পাল তা মানতে চাননি। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। কিছু বামকর্মী তাতে আকৃষ্ট হতেই পারেন। তার বেশি কিছু নয়। তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিধায়ক অসিত মজুমদার (Asit Mazumdar) বলেন, রাম ও বামের সমঝোতার কথা আম জনতা ভালোই জানে। ভোটের পরিসংখ্যানে সেই আঁতাত ধরা পড়েছে। আমরা মানুষকে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করি। তাই রাম, বাম নিয়ে ভাবছি না।