Maha Shivratri 2024: শিবচতুর্দশী উপলক্ষে তারকেশ্বর-সহ বিভিন্ন মন্দিরে মানুষের ঢল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শুক্রবার থেকে শিবচতুর্দশী শুরু হয়েছে। শেষ হবে শনিবার বিকেলে। শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল থেকেই তারকেশ্বরে শিবের মাথায় জল ঢালার ভিড়। রাত যত গভীর হয়েছে ততই বেড়েছে ভিড়।
তারকেশ্বরে নিরাপত্তার কারণে মন্দিরে প্রবেশের প্রধান ফটকে বসানো হয়েছিল মেটাল ডিটেক্টর। প্রশাসন জল, আলো, স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ বিভিন্ন পরিষেবামূলক ব্যবস্থা করেছিল। মন্দিরের প্রবেশদ্বারগুলিতে ছিল কড়া নিরাপত্তা। ছিল সিসি ক্যামেরা। এছাড়া সাদা পোশাকে এবং মহিলা পুলিস ছিল। তবে অতিরিক্ত ভক্ত সমাগমের কারণে মন্দির চত্বরে ভিড় সামলাতে নাজেহাল হতে হয়েছে প্রশাসনকে। পুণ্যার্থীরা জানান, প্রথা অনুযায়ী, মঠের মহারাজ পালকিতে করে মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। সারারাত মন্দির খোলা ছিল। পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক আয়োজন ছিল সন্তোষজনক। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে বিশেষ ট্রেন চালানো হয়।
শুক্রবার বিকেল থেকে কোন্নগর বারো মন্দিরেও উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়। ১৮২১ সালে কলকাতা হাটখোলা নিবাসী হরসুন্দর দত্ত পরিবার গঙ্গা লাগোয়া এই মন্দির নির্মাণ করেছিল। বর্তমানে দেখাশোনার দায়িত্বে কোন্নগর পুরসভা। এদিন লাইন দিয়ে ভক্তরা গঙ্গাস্নান করে দ্বাদশ শিবলিঙ্গে জল ঢেলেছেন মনস্কামনা পূরণের আশায়।
শিবরাত্রি নিয়ে একাধিক কাহিনি প্রচলিত। জানা যায়, দেবী পার্বতী শিবকে সন্তুষ্ট করার জন্য তপস্যা করেছিলেন। শিব চতুর্দশীর এই দিনেই মহাদেব তপস্যায় তুষ্ট হন। অন্য একটি কাহিনি হল, এক ব্যাধ শিকার শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাত হয়ে যাওয়ায় একটি বেলগাছে আশ্রয় নেন। সেই রাত্রি ছিল শিব চতুর্দশী। বেলপাতা ও শিকার করা প্রাণীর গা থেকে ঝরে পড়া জল গাচের নীচে ঝড়ে পড়ে। বেল গাছের নীচে থাকা শিবলিঙ্গের মাথায় সেই জল পতিত হলে ব্যাধের শিবলোক প্রাপ্তি হয়।
শিবরাত্রি আয়োজনে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বেল ও বেলপাতা, আকন্দ ফুলের মালা ও ধুতরো ফল ও ফুল। শহরের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পুজোর সেই সামগ্রীর দাম বেশ চড়া। ছোট আকন্দ কুড়ির মালার দাম ছিল ১৫ ২০ টাকা। ধুতরো ও কাটা ফল বিক্রি হয়েছে প্রতিপিস ১০ টাকা দামে। বড় গাঁদার মালা কোথাও ৩০, আবার কোথাও ৪০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। ছোট রজনীগন্ধা দিয়ে পিস প্রতি গাঁদার মালার দাম ছিল ১০ টাকা। আর ২০ টাকার কমে কোথাও মিলছিল না একমুঠো কুচো ফুলও। গোলাপ লাগানো প্রমাণ সাইজের রজনীগন্ধা মালার দাম ছিল বেশ চড়া। কোথাও ৮০ ১০০ টাকা। আবার কোথাও ১২০ টাকাতেও তা বিক্রি হয়।
রীতি অনুযায়ী পুজো উপাচার সেরে সাবু আর ফলার করেন ভক্তরা। এদিনের বাজারে প্রতি কেজি শশার দাম ছিল ৫০ ৬০ টাকা। বড় বেল ৩০ ৩৫ টাকা। মাঝারি ২০ ২৫ টাকা। ছোট বেল ১০ ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নারকেল কুলের দর ছিল কোথাও ৫০, আবার কোথাও ৬০ টাকা কেজি। আপেল ১২০ ১৪০ টাকা কেজি, শাঁখ আলু ৪০ ৫০ টাকা দরে বিকিয়েছে। কাঠালি কলা প্রতি পিসের দাম ছিল ৬ ৭ টাকা। তরমুজ কেজি প্রতি ৪০ ৫০ টাকায় এবং কমলা লেবু প্রতি পিস ১০ ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি পিস ডাব কোথাও ৫০ আবার কোথাও ৬০ টাকা দামে বিক্রি হয়। আঙুরের দাম ছিল ১০০ ১২০ টাকা কেজি।