BJP চারশো সিট পেলেই সংবিধান বদল? জল্পনা গেরুয়া সাংসদের মন্তব্যে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশের সংবিধান পাল্টাতে চাইছে বিজেপি? সংবিধানের প্রস্তবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাদ দিতে বদল দরকার। ছ’বছর আগে এমন মন্তব্য করেছিলেন কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ে। রবিবারের এক জনসভা থেকে একই সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। এবার আরও সুর চড়িয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদের আহ্বান, সংবিধান বদল প্রক্রিয়া শুরু করতে বিজেপিকে অন্তত ৪০০ আসন জিততে হবে। তাঁর দাবি, হিন্দুত্বকে রক্ষা করার জন্য সংবিধান বদল করতেই হবে।
বিজেপি সাংসদের এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধী শিবির। বিরোধীদের দাবি, অনন্তের এই মন্তব্যে বিজেপির হিন্দুরাষ্ট্রে এজেন্ডাই সামনে এসেছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কথায়, দেশে স্বৈরতন্ত্র চালু করাই মোদি-আরএএসের লক্ষ্য। যদিও ভোটের আগে অস্বস্তি এড়াতে হেগড়ের (BJP MP Anantkumar Hegde) মন্তব্য থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে বিজেপি। বিজেপি বলেছে, ওই মন্তব্য হেগড়ের ব্যক্তিগত মতামত। দলের অবস্থানের প্রতিফলন নয়।
কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদের দাবি, অতীতে নাকি কংগ্রেস হিন্দুদের দমিয়ে রাখার লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধন করেছিল। এখন ধর্ম রক্ষার জন্য সংবিধান বদল করতে হবে। এরপরই তিনি বলেন, মোদী লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) দলের ৪০০ আসন পার করার কথা বলেছেন। কেন ৪০০? লোকসভায় বিজেপির দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কিন্তু রাজ্যসভায় নেই। রাজ্য সরকারগুলিতেও পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। তাই-ই ৪০০ সংখ্যাটিতে জোর দিয়েছেন মোদী, এমনই দাবি অনন্তর।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালে কারিগরী উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন একই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অনন্ত। সে’সময় লোকসভায় ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছিল মোদীর মন্ত্রীকে।