CAA-এর বিরোধিতা করলে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতীক বাজেয়াপ্তের হুমকি হিমন্ত বিশ্বশর্মার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ লোকসভা ভোটের আগে গোটা দেশে চালু হয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)।
সারা দেশে প্রবল বিরোধিতার কারণে আইন তৈরি করেও চার বছর ফেলে রেখেছে মোদী সরকার। বিজেপি সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) দেশে নাগরিকত্বের সংজ্ঞা ঠিক করেছে ধর্মের ভিত্তিতে। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি স্পষ্ট। সেই নীতিকে অগ্রাহ্য করে তৈরি হয়েছে আইন। সে আইনে বলা হয়েছে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন এমন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ্, জৈন, খ্রীস্টান, পার্সী ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আইনে মুসলিমদের উল্লেখ নেই।
আসামে ইতিমধ্যে সিএএর বিরোধিতায় এক জোট হয়ে রাজপথে নেমেছে বিজেপিবিরোধী বেশির ভাগ দল। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসাম সফরের সময় পথে নেমে বিক্ষোভ করেছে বিরোধী দলগুলো। এর জেরেই বিক্ষোভ দমনে বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ‘অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক’ বলে ব্যাখ্যা করেছে বিরোধী দলগুলো। বিরোধী রাজনৈতিক দলকে খারিজ করার মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনাকে প্রচারে তুলে ধরবে তারা।
বিশ্বশর্মা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সেই অধিকার নেই। বিশ্বশর্মা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যখন ধর্মঘটের ডাক দিচ্ছে, তখন তারা উচ্চ আদালতের আদেশের অবমাননা করছে। এরপরও যদি তারা এ ধরনের ধর্মঘটের ডাক দেয়, তবে তাদের প্রতীক বাজেয়াপ্ত করতে আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব।’
উল্লেখ্য, এর আগে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী প্রয়োগ করেছিল রাজ্যের বিজেপি সরকার। প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষকে পাঠানো হয়েছে ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’। তার মধ্যে হিন্দুরাও রয়েছেন বড় সংখ্যায়। আবার দেশের সুরক্ষার জন্য সারা জীবন কাজ করে আসা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকেও পাঠানো হয়েছে।