CAA বিতর্কিত কেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ। সোমবার রাতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হয়ে যেতে পারে দেশে, বিকালে এমন খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে তার আগেই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেল।
এই আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের যেসব মানুষ ভারতে এসেছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ পারবেন না। এই কারণেই আইনটি বিতর্কিত। এই আইন নিয়ে এরই মধ্যে আসামসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে জনবিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সোমবার সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, রমজান মাস শুরুর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালু হতে পারে। এটা একধরনের প্ররোচনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় কিছুতেই সিএএ চালু করতে দেবেন না। মোদী সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘সাহত থাকলে (সিএএ) আগে করতেন। লোকসভা ভোটের আগেই করতে হল কেন?’’
সারা দেশে প্রবল বিরোধিতার কারণে আইন তৈরি করেও চার বছর ফেলে রেখেছে মোদী সরকার। বিজেপি সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) দেশে নাগরিকত্বের সংজ্ঞা ঠিক করেছে ধর্মের ভিত্তিতে। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি স্পষ্ট। সেই নীতিকে অগ্রাহ্য করে তৈরি হয়েছে আইন। সে আইনে বলা হয়েছে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন এমন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ্, জৈন, খ্রীস্টান, পার্সী ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আইনে মুসলিমদের উল্লেখ নেই।
এর আগে ধর্মীয় মেরুকরণের কৌশল নিয়ে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী প্রয়োগ করেছিল রাজ্যের বিজেপি সরকার। প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষকে পাঠানো হয়েছে ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’। তার মধ্যে হিন্দুরাও রয়েছেন বড় সংখ্যায়। আবার দেশের সুরক্ষার জন্য সারা জীবন কাজ করে আসা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকেও পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসেও আসামে সিএএ এবং এনআরসি’র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে।