মালদহের ঐতিহাসিক পর্যটনের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও অতিথি টানতে উদ্যোগ প্রশাসনের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মালদহে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। জেলার ইতিহাস প্রসিদ্ধ ও প্রখ্যাত ধর্মীয় স্থানগুলি ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রেও পর্যটনকে চাঙ্গা করতে ডিপিআর (বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট) তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) পীযূষ সালুঙ্খে এক অনুষ্ঠানে বলেন, মালদহে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। গৌড়, আদিনা, পাণ্ডুয়া, জগজীবনপুরের মতো এলাকার পাশাপাশি মনস্কামনা মন্দির, জহরাতলা মন্দির, পীরানা পীর ইত্যাদি ধর্মস্থানও রয়েছে। অনেক মানুষ এইসব জায়গায় বেড়াতে আসেন। কিন্তু শুধু ধর্মীয় বা ঐতিহাসিক স্থানের উপরে নির্ভর করলেই হবে না। মালদহে অনেকেই চিকিৎসার জন্য আসেন। একে স্বাস্থ্য পর্যটন বলা হয়। তাছাড়াও আমের মরশুমেও অনেকে জেলায় আসেন। আমবাগানকে কেন্দ্র করে পর্যটন গড়ে তোলা যেতে পারে। কলকাতা থেকে পাহাড় বা ডুয়ার্সে যাওয়ার সময় অনেকে মালদহে এক বা দু’রাত থেকে যান। তাঁরাও এক ধরনের পর্যটক। তাঁদের আমরা ডিসট্যান্স পর্যটক বলি। রেল পর্যটনেও মালদহ প্রথম সারিতে থাকতে পারে।
পীযূষ সালুঙ্খে বলেন, আমরা মালদহে বিভিন্ন ধরনের পর্যটনের সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে রাজ্য সরকারের প্রাথমিক অনুমতি নিয়ে ডিপিআর তৈরি শুরু করে দিয়েছি। নির্বাচনের কারণে এই প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে। তবে অক্টোবর মাসের মধ্যেই ডিপিআর তৈরি হয়ে যেতে পারে। রাজ্য সরকারের কাছে ওই রিপোর্ট পাঠানো হবে। তারপর নির্দিষ্ট দপ্তরের অনুমতি নিয়ে আমরা পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যথাযথ পদক্ষেপ করব।