CAA কার্যকর হতে দেবেন না! মমতার সুরে সুর স্ট্যালিন, বিজয়নের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী ও বিজেপির চারশো আসনের মধ্যে প্রধান অন্তরায় হল দক্ষিণ ও পূর্ব ভারত, সেই দুই জায়গা থেকেই সিএএ-র বিরুদ্ধে আপত্তি উঠল। সোমবারই পূর্ব ভারতের বাংলা, দক্ষিণের কেরল জানিয়েছিল, নিজেদের রাজ্যে তারা সিএএ কার্যকর করতে দেবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আক্রমণের সুর চড়িয়েছেন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, সিএএ কার্যকর হবে না। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন একই পথে হেঁটেছেন। মঙ্গলবার স্ট্যালিন (M.K.Stalin) জানান, সিএএ আইন ভারতের ধর্মীয় বহুত্ববাদের পরিপন্থী। সিএএ শ্রীলঙ্কার তামিল উদ্বাস্তু বিরোধী। দক্ষিণে এই আইন তামিলদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হবে। তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তাঁর রাজ্যে প্রয়োগ করা হবে না।
স্ট্যালিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মোদী সরকার (Modi Govt) যেন জোর করে আইন প্রয়োগের চেষ্টা না করে। স্ট্যালিন সিএএ-কে তামিল-বিরোধী তকমা দিচ্ছেন। যা লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। তাহলে বিজেপির জোটসঙ্গী তামিল আঞ্চলিক দলগুলিও চরম অস্বস্তিতে পড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই এই আইনকে বাঙালি ও সংবিধান বিরোধী হিসেবেই অভিহিত করেছেন। একুশের মতোই এবারেও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তথা মোদী সরকারকে বাঙালি বিরোধী হিসেবেই প্রচার করার কৌশল নিচ্ছে তৃণমূল (TMC)। অসমে কংগ্রেস-সহ ১৬ দলের জোট এই ইস্যুতে বন্ধ ডেকেছে ও আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ভোটের আগে মোক্ষম অস্ত্র বিরোধীদের হাতে তুলে দিল বিজেপিই।
মঙ্গলবার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সিএএ পোর্টাল ও সিএএ (CAA) অ্যাপ চালু করল মোদী সরকার। তাতে আবেদন করা যাবে। মোবাইল নম্বর দিয়ে লগ ইন করতে হবে। আবেদনপত্র পূরণ করে তা পোর্টালে জমা দিতে হবে। নথি আপলোড করা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু আবেদনকারীকে জানাতে হবে, তিনি কোন সন-তারিখে পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর উক্ত তিন দেশ থেকে যাঁরা ভারতে এসেছেন এবং বেআইনিভাবে থাকছেন, তাঁদের কী হবে? ভোটার কার্ড, আধার কার্ড থাকলেও তাঁরা কি অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই বিবেচিত হবেন? তাদের চিহ্নিত করতে অভিযান হবে? নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত আম জনতা।