রাজ্যে বাড়ছে মাম্পস, কী বলছেন চিকিৎসকরা?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে মাম্পস আক্রান্তের সংখ্যা। কিশোর বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি হাসপাতালেও ভর্তি হতে হচ্ছে। তবে মিলছে রেহাই। প্রি স্কুল এবং স্কুলে পড়ুয়া আক্রান্ত হচ্ছে মাম্পসে। রাজ্যজুড়ে হঠাৎই এই ভাইরাসঘটিত রোগ বেড়ে গিয়েছে। চোয়াল ফোলা, মাথা ব্যথা, মাংসপেশি ও গাঁটে ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ থাকছে। বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, পার্ক সার্কাসের বেসরকারি শিশু হাসপাতাল-সহ একাধিক জায়গা থেকে খবর মিলছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য ভাইরাসঘটিত রোগের মতোনমাম্পসেরও উপসর্গ দেখে চিকিৎসা হয়। প্রত্যক্ষ কোনও ওষুধ নেই। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, ব্যথার ক্ষেত্রে পেন কিলার দেওয়া হয়। চিকিৎসা সময় মতো না হলে, মাম্পস সংক্রমণ ছেলেদের শুক্রাশয়ে এবং মেয়েদের জরায়ুতে ছড়াতে পারে। মস্তিষ্কে ছড়িয়ে এনকেফেলোপ্যাথিও হতে পারে। হার্টের রোগ ও প্যানক্রিয়াটাইটিস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
সরকারি টিকাকরণ কর্মসূচিতে মাম্পসের টিকা নেই। মাম্পস, মিসলস, রুবেলার টিকা নিতে হয় বেসরকারিভাবে। সেক্ষেত্রে টিকা নিতে খরচ বেশি হয়। চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের অবশ্যই এমএমআর টিকা দেওয়া উচিত। ন’মাস, ১৫ মাস এবং চার থেকে ছ’বছরের মধ্যে তিনবার এই টিকা নিতে হয়। শেষের দুটি বুস্টার। বিসি রায় শিশু হাসপাতালের সুপার ডাঃ সন্দীপ সামন্ত বলছেন, মাম্পস এ বছর বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত। রাজ্য পরিবার কল্যাণ আধিকারিক ডাঃ অসীম দাস মালাকারের কথায়, হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়লে টিকা দেওয়া শুরু করা যায় না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার দেখে।
ইতিমধ্যেই কেরলে মাম্পসের আউটব্রেক আরম্ভ হয়েছে। ১০ মার্চ একদিনে ১৯০ জন আক্রান্ত হয়েছে। মার্চে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০৫। গত কয়েক মাসে সংক্রামিত প্রায় সাড়ে ১১ হাজার জন।