CAA চালু হতেই বাতিলের দাবিতে আন্দোলন অসমজুড়ে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কার্যকর হয়েছে সিএএ, তা কার্যকর হতেই বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে গোটা অসমজুড়ে। সংসদে সিএএ পাস হতে ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়েছিল অসমে। অসমে ফের অশান্তি ছড়িয়েছে। অসমের ১৬টি দলের যৌথ মঞ্চ ‘ইউনাইটেড অপজিশন ফোরাম অসম’ সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার সর্বাত্মক হরতালে ডাক দিয়েছিল। শিবসাগর, গোলাঘাট, নগাওঁ ও কামরূপ জেলায় দোকান ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মোদী, অমিত শাহের কুশপুতুল ও আইনের কপি পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন দল। অসম (Assam) বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়ার নেতৃত্বে গুয়াহাটিতে আইনের কপি পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। পুলিশের নির্দেশিকাকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা দেবব্রত জানান, পুলিশ অসমের বিজেপি সরকারের হয়ে কাজ করছে। সিএএ চালুর বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু) ও ৩০টি অরাজনৈতিক জনজাতি সংগঠন মশাল মিছিলের আয়োজন করে। আজ, অর্থাৎ বুধবার থেকে তারা সত্যাগ্রহ শুরু করবে বলে জানিয়েছে। আসু আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
বিরোধী দলগুলির দাবি, সিএএ (CAA) চালু হলে লক্ষ লক্ষ মানুষ অসমে চলে আসবে। হরতাল প্রত্যাহারের জন্য অসম পুলিশও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পুলিশের ডিজি জিপি সিং জানিয়েছেন, হরতাল ও প্রতিবাদ কর্মসূচির জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির সম্ভাবনা তৈরি হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। বিরোধী নেতাদেরও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করে শোণিতপুর জেলায় সভা, ধর্না বা মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সারা রাজ্যেই কমান্ডো-সহ অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশি টহল, চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি থানায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ লখিমপুরে (Lakhimpur) মোদী ও শাহের কুশপুতুল পুড়িয়েছে। সিপিএম রঙ্গিয়া শহরে বিক্ষোভ দেখায়। কলেজের পড়ুয়ারাও প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে। শিবসাগর, বরপেটা ও নলবাড়িতে সিএএর প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।