ভোটে প্রশিক্ষণের জন্য ডাক পাওয়া সরকারি কর্মীদের সমস্ত তথ্য ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য ভোট প্রশিক্ষণের ডাক পাওয়া সরকারি কর্মীরা ক্ষুব্ধ। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার এবং রা্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ইমেল করে অভিযোগ জানাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ ভোটে প্রশিক্ষণের জন্য ডাক পাওয়া সরকারি কর্মীদের সমস্ত তথ্য ঘরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সংশ্লিষ্ট কর্মীর নাম, কর্মক্ষেত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ভোটার আইডি নম্বর এবং মোবাইল নম্বর, সবই দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে ১৪ মার্চ দুপুর ১২টায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে অভিযোগ জানানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘আগের ভোটেও এমন ঘটেছিল। তখনও অভিযোগ জানানো হয়েছিল। আবেদন করা হয়েছিল, এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে। তা সত্ত্বেও বারবার একই ঘটনা ঘটায় কর্মীরা উদ্বিগ্ন।’ অন্যদিকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সংগঠন এসটিইএ’র তরফেও মঙ্গলবার রাজ্যের যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে একই অভিযোগে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। তার আগে কমিশনের সামনে ব্যানার-ফেস্টুন সহযোগে বিক্ষোভও দেখান সংগঠনের সদস্যরা। তাদের আরও অভিযোগ, সর্বভারতীয় ছুটির দিন হওয়ার সত্ত্বেও হোলিতে অর্থাৎ ২৬ মার্চ ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ ফেলা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এ ধরনের কাজ হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিল। সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে অবৈধ মদ চোরাচালান রুখতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আবগারি বিভাগ আন্তঃরাজ্য সীমানাগুলিতে সিসি ক্যামেরার নজরদারি চালু করছে। রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমানা এলাকায় বিশেষভাবে নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবগারি দপ্তর। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিঙের সীমান্তবর্তী ১১টি চেক পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আন্তঃরাজ্য সীমান্তগুলির নাকা পয়েন্ট দিয়ে যাতায়াতকারী সমস্ত যানবাহনের লাইভ ওয়েব কাস্টিং করা হবে। সন্দেহজনক যে কোনও গাড়ি থামিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেও জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, পাচারকারীরা মদ ও মাদক পাচারের জন্য আন্তঃরাজ্য চলাচলকারী বাসগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে। যে কারণে পুলিস এবং আবগারি দপ্তরের যৌথ স্কোয়াড হাইওয়েগুলিতে আচমকা হানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।