প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে প্রতিবছর নষ্ট হয় ২৬ হাজার কোটি কর্মঘণ্টা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইতিমধ্যেই গরম বাড়তে শুরু করেছে। এ’বছর রেকর্ড পরিমানে তাপমাত্রা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি পড়ছে শ্রমজীবী প্রান্তিক মহিলাদের জীবনে। অত্যধিক গরম কিংবা বৃষ্টি তাঁদের উপার্জনের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের দেশে প্রতিবছর অত্যাধিক গরমে নষ্ট হয় একাধিক কর্ম দিবস।
ইন্দো-গ্লোবাল সোশ্যাল সার্ভিস সোসাইটি নামে একটি সংস্থার আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন শ্রমজীবী মহিলারা। এই সংস্থার একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ‘হিট ওয়েভ’-এর কারণে পথ বিক্রেতা, বাতিল কাগজ সংগ্রহকারী, নির্মান শ্রমিকদের মতো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমজীবী মহিলাদের উপার্জন প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অত্যধিক গরমের কারণে ভারতে প্রায় ২৬ হাজার কোটি কর্মঘণ্টা প্রতি বছর নষ্ট হয়েছে। সাধারণত দিনে আট থেকে দশ ঘণ্টা কাজ করেন শ্রমজীবী মহিলারা। অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে দিনে বেশ কয়েক ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে বলে মত।
ধাপার বাসিন্দা পার্বতী ভুঁইঞ্যা কাগজ সংগ্রহের কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে কাজ করতে পারি না। ভোর পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে বের হই। দুপুরে অনেক দিনই সেই খাবার নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির সময় সমস্যা আরও বেড়ে যায়।’ এই পেশার সঙ্গেই যুক্ত ফুলন দাস নামে এক মহিলা বলেন, ‘আমাদের গ্রামের দিকে এখনও গাছপালা রয়েছে। তাই রাতের দিকে বাড়ির বাইরে থাকলে আরাম হয়। কিন্তু মহিলারা বেশিক্ষণ বাড়ির বাইরে থাকতে পারেন না। টালির চালে পাখা চালালে গরম হাওয়া।’