বাড়ছে CAA জটিলতা, নাগরিকত্বের আবেদন করার পর বসতে হবে ইন্টারভিউয়ে!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রতিদিন বাড়ছে সিএএ (CAA) সংক্রান্ত জটিলতা। এবং এখন যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টা মোটেও আর সহজ নেই। বরং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৃহস্পতিবারের মন্তব্যে সিএএ-আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এতদিন মোদী সরকারের দাবি ছিল, সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। কেড়ে নেওয়ার নয়। আর এই নাগরিকত্ব পেতে কোনও নথিপত্র জমা দিতে হবে না। সিএএ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে নাম-পরিচয়ের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে আবেদন করলেই চলবে।
কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে, গোটা ব্যাপারটা পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার থেকে কোনও অংশে কম নয়। এক্ষেত্রেও নাগরিকত্বের আবেদন করার পর ডাক পড়বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দপ্তরে। নির্ধারিত দিনে দেখা করে ইন্টারভিউ দিতে হবে কেন্দ্রীয় অফিসারের সামনে। দেখাতে হবে নথিপত্র। পরীক্ষা করে যদি আধিকারিকরা মনে করেন, ওই নথি এবং আবেদনপত্রের দাবি সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাহলেই মিলবে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। কিন্তু যাঁদের আবেদনপত্র খারিজ হবে?
এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত অমিত শাহের কাছেও নেই। কিংবা তিনি এই ইস্যুতে রহস্য জিইয়ে রাখছেন। আর এটাই আতঙ্কের কারণ। অসমে এনআরসির সময় দেখা গিয়েছিল, একই নথি কোনও একজন নাগরিকের ক্ষেত্রে বৈধতা পেলেও অন্য কারও জন্য মান্যতা পায়নি। ফলে মুহূর্তে তাঁরা অনুপ্রবেশকারী এবং বিদেশি হয়ে গিয়েছেন। এক্ষেত্রেও তেমন কিছু হবে না তো? সিএএ’র ভিত্তিতে যাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন না, বা যাঁদের নথিপত্র থাকবে না, তাঁদের কি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেগে দেওয়া হবে? অমিত শাহ বলেছেন, ‘যাঁদের নথি নেই, তাঁদের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা তাঁদের কথাও ভাবব। উদ্বেগের কারণ নেই।’ অর্থাৎ এখনও সিএএ কার্যকর করার প্রক্রিয়ার মধ্যেই না বলা একঝাঁক শর্ত রয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, নাগরিকত্ব একটি জীবন-মরণ সিদ্ধান্ত। এই ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকছে না কেন? বিভিন্ন বিরোধী রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, তারা সিএএ কার্যকর করতে দেবে না। তাহলে রাজ্যের সহযোগিতা ছাড়া কীভাবে সম্ভব এই প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘সংবিধানের ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী নাগরিকত্ব নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও অধিকারই নেই। সবটাই কেন্দ্রের বিষয়।’