গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটল মেট্রো, যাত্রীরা কৃতিত্ব কাকে দিলেন- মোদীকে না দিদিকে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শুক্রবার সকাল ৭টায় প্রথমবার যাত্রীদের নিয়ে গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটল মেট্রো। দেশের মধ্যে প্রথমবার জলের তলা দিয়ে চলছে মেট্রো রেল। মাত্র ৪৬ সেকেন্ড গঙ্গার তলায় থাকবেন যাত্রীরা। গঙ্গার নীচে সুড়ঙ্গের অংশ নীল আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। নীল আলো দেখেই যাত্রীরা বুঝতে পারবেন যে, তাঁরা গঙ্গার নীচে রয়েছে।
টানেলের ভেতর দিয়ে গঙ্গার নীচ দিয়ে কেমন ভাবে যাবে মেট্রো রেল তার অভিজ্ঞতা নিতে প্রথম মেট্রোতেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কলকাতা ময়দানে প্রাতর্ভ্রমণকারী থেকে স্কুল পড়ুয়া অফিস যাত্রী সকলেই সওয়ার হয়েছিলেন এই মেট্রো (Under Ganga Metro) রেলের।
কিন্তু সব কিছুর মতো এখানেও বিতর্ক! মোদী না দিদি? হাওড়া মদয়ান-এসপ্ল্যানেড মেট্রো চালুর কৃতিত্ব নিয়ে গঙ্গাবঙ্গে রাজনৈতিক তরজায় জড়ালেন যাত্রীদের একাংশ। কার সৌজন্যে শুক্রবার পাতাল পথে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের ঝড় ওঠে।
বহু যাত্রী নিজেদের মধ্যে বিজেপি-তৃণমূল কাজিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। কয়েকজন আবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রকৃত রূপকার হিসেবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারের ভূমিকা তুলে ধরেন। লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে এই মেট্রো নিয়ে বিতর্ক উস্কে দেবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ, এদিনই হাওড়ার বিজেপির প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী বহু কর্মী-সমর্থক নিয়ে হাওড়া মদয়ান মেট্রো স্টেশনে ঢুকে যাত্রীদের মধ্যে প্রচার চালান। একইভাবে বিজেপির যুব মোর্চা এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে ঢুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে স্লোগান দিতে শুরু করে। পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। হাওড়ার ঘাসফুল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাগর্ভে মেট্রো চালুর পুরো কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) দিয়েছেন। তাঁর দাবি, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা এই প্রকল্প অনুমোদন করেছিলেন।