আলিপুরদুয়ারে চা-বলয়ে বিজেপি’র সংসারে অশান্তির আগুন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দলীয় প্রার্থী মনোজ টিগ্গার সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট না পেয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জন বারলা। মাদারিহাটে প্রকাশ্যে সেই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ছড়ায়। পরে অবশ্য বারলা সুর নরম করলেও বিজেপির চা শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (বিটিডব্লুইউ) এখনও দলের প্রার্থীর সমর্থনে চা বাগানে সেভাবে প্রচারে নামেনি। আর এতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গেরুয়া শিবিরে। এরই মধ্যে মনোজের বিরোধিতা করে হাতে লেখা পোস্টার সাঁটানো হয়েছে বানারহাটের মোরাঘাট চা বাগানের ছেত্রী লাইন ও হলদিবাড়ি চা বাগানের বিভিন্ন জায়গায়।
ডুয়ার্সের চা বলয়ে বিজেপির মূল শক্তি বিটিডব্লুইউ। এই সংগঠনকে সামনে রেখে গত লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারে জন বারলা প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে বাজিমাত করেছিলেন। বারলা ‘টিকিট’ না পাওয়ায় সেই বিটিডব্লুইউ এবার ম্রিয়মান। যদিও বিজেপির আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তথা মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বিটিডব্লুইউয়ের নিষ্ক্রিয় থাকার কথা মানতে চাননি। তাঁর মন্তব্য, বিটিডব্লুইউ প্রচারে নেই, একথা ঠিক নয়। প্রতিটি বাগানে বিটিডব্লুইউয়ের প্রচার কমিটি তৈরি হয়েছে। আলাদা করে মাদার সংগঠনেরও বুথ কমিটি হয়েছে প্রতিটি বাগানে।
জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা বিধানসভার মেটেলি থেকে অসম সীমানায় কোচবিহারের তুফানগঞ্জ পর্যন্ত ১১৬টি চা বাগান। ভোট এলে চা মহল্লায় কান পাতলে সাদরি ভাষায় একটা কথা শোনা যায় ‘চায়ে বাগান যেকার, ভোট সেকার।’ অর্থাৎ চা বাগান যাঁর, ভোট তাঁর। ফলে প্রার্থী নিয়ে কোন্দলে ঘেঁটে যাওয়া পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের চা শ্রমিকদের জন্য কিছু না করা, অন্যদিকে ভোটের প্রচার থেকে বিটিডব্লুইউ নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া, এই সাঁড়াশি চাপে আলিপুরদুয়ারে বিজেপির দিশাহারা অবস্থা।