রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড নিয়ে অনেক কিছু শোনা যায়, ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? 

March 17, 2024 | 2 min read

বর্ধমানের সাঁইবাড়ি গণহত্যার ৫৪ বছর পূর্তি আজ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বর্ধমানের সাঁইবাড়ি গণহত্যার ৫৪ বছর পূর্তি আজ। ১৯৭০ সালের ১৭ মার্চ প্রতাপেশ্বর শিবতলায় সাঁইবাড়ির একই পরিবারের দুই সদস্যকে খুন করা হয়। প্রণব ও মলয় সাঁই ছাড়াও খুন হয়েছিলেন গৃহশিক্ষক জীতেন রায়। এতটাই নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল যা দেখে গোটা দেশের মানুষ শিউড়ে উঠেছিল। মায়ের সামনেই রক্ত ঝরেছিল সন্তানদের। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও সাঁই পরিবারের সদস্যদের দিল্লিতে ডেকে কথা বলেছিলেন।

১৯৭০ সালের ১৭ মার্চ বর্ধমান শহরের প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনে খুন হন দুই ভাই, মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই। তাঁদের সঙ্গে নিহত হন সেই সময়ের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ছাত্র জিতেন রায়। ওই বাড়িতে পড়াতে যেতেন তিনি। ওই মামলায় নাম জড়ায় প্রয়াত নিরুপম সেন, বিনয় কোঙার-সহ সিপিএমের বহু নেতা-কর্মীর।

সাঁই পরিবারের অভিযোগ, পুরো বাড়ি ঘিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রান্নাঘরে ঢুকে প্রণব আর জিতেনকে বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে-পিটিয়ে খুন করা হয়। পাশের বাড়িতে খাটের তলায় লুকিয়ে থাকা মলয়কেও টেনে বার করে খুন করা হয়।

কংগ্রেসের সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই তারাপদ মুখোপাধ্যায় কমিশন গড়ে তদন্ত শুরু করেন। পাঁচ বছর পরে, ১৯৭৭ সালে সিপিএম ক্ষমতায় এসে ওই কমিশন বন্ধ করে দেয়। সাঁই পরিবারের অভিযোগ, মুখোপাধ্যায় কমিশন তদন্ত-রিপোর্ট দিলেও বিচার মেলেনি। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অরুণাভ বসুকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিশন গঠন করেন।

প্রতি বছরই এই অভিশপ্ত ১৭ মার্চে সাঁইবাড়িতে (Sainbari massacre) শহিদদের স্মরণ করা হয়। আগে জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্মরণ অনুষ্ঠান করা হলেও, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই অনুষ্ঠান করে আসছে তৃণমূলই। অর্ধ শতাব্দী পার হলেও, রাজ্য রাজনীতিতে এক জ্বলন্ত স্ফুলিঙ্গের নাম সাঁইবাড়ি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#CPM, #Saibari massacre

আরো দেখুন