হুগলির কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রের জন্য কী করেছেন? প্রশ্নবাণে বিদ্ধ লকেট
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হুগলিতে পদ্মের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি প্রার্থী হতেই গেরুয়া কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ, বিদ্রোহের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। প্রচারে বেরিয়ে আম জনতার প্রশ্নের মুখে পড়ছেন লকেট। হুগলির শিল্প ও কৃষির কেন্দ্র বলা চলে হুগলি লোকসভাকে। নির্বাচনের আবহে প্রশ্ন উঠছে, গত পাঁচ বছরে হুগলির সাংসদ, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রের জন্য কী করেছেন? তৃণমূল এবং বামেরা এই প্রশ্ন তুলেই প্রচারে নেমে পড়েছে। হুগলির (Hoogly) সাংসদ তথা বিজেপি (BJP) প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), নিজের কাজের খতিয়ানের যে পুস্তিকা প্রকাশ করেছেন, তাতে হুগলির কৃষি ও শিল্প জন্য কোনও কাজের উল্লেখ নেই। প্রচারে এগুলোকে ইস্যু করছে বিরোধীরা।
সিপিএমের (CPIM) জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য, হুগলির মানুষ কৃষি ও শিল্পবলয়ের উন্নতির আশায় বিজেপির প্রার্থীকে জিতিয়েছিলেন। জবাব বিজেপিকেই দিতে হবে। দেশের কৃষকদের গাড্ডায় ফেলে দিতেই বিজেপি সরকার কৃষিনীতি তৈরি করেছে। এবার সেসবের জবাব দিতে হবে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষকনেতা বেচারাম মান্না (Becharam Manna) বলেন, সিঙ্গুর ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ইতিহাসে কৃষক আন্দোলনের নতুন দলিল তৈরি করেছে। কৃষি ও শিল্পের পরিকাঠামো গড়তে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে বাংলার। বন্ধ কারখানা খুলতে সরকার সর্বদা তৎপর।
হুগলি লোকসভা অঞ্চলে কৃষি এবং শিল্পের সহাবস্থান। হুগলির চন্দননগর, চুঁচুড়া, পোলবা, ভদ্রেশ্বরে জুটমিল-সহ নানা কারখানা রয়েছে। অন্যদিকে, সিঙ্গুর, ধনেখালি, চুঁচুড়া-মগরা, পোলবা-দাদপুর, পাণ্ডুয়া, বলাগড় ইত্যাদি এলাকাগুলো কৃষির মেরুদণ্ড। বিরোধীদের অভিযোগ, হুগলির জন্য বিজেপি সাংসদের কোনও অবদান নেই।