অভিষেকের বিরুদ্ধে বিজেপির সম্ভাব্য তিনে দুজনই প্রাক্তন তৃণমূলী, ১ MBA?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও প্রার্থী ঘোষণার নাম নেই বিজেপি। বাংলায় কুড়িজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেই আপাতত হিমঘরে বিজেপি। গেরুয়া কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা। পাশাপাশি দিকে দিকে শুরু হয়েছে বিদ্রোগ। বাকি তেইশ আসনে কাদের প্রার্থী করা হবে? চিন্তায় গেরুয়া শিবির। রীতিমতো হাহাকার চলছে প্রার্থী নিয়ে। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে প্রবল চাপে বিজেপি। ডায়মন্ডহারবারে যোগ্য প্রার্থী খুঁজেই পাচ্ছে না পদ্ম পার্টি। শোনা যাচ্ছে, দলবদলু সোনালী গুহকে প্রার্থী করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এককালের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত সোনালী গুহ একুশের নির্বাচনের আগে দল বদলেছিলেন। পরে একাধিকবার ফিরে যেতে চাইলেও, তাঁকে ফেরায়নি তৃণমূল। অগত্যা বিজেপিতেই থেকে যান সোনালী। এবার তাঁকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টিকিট দিতে পারে বিজেপি। এছাড়াও আরেক দলবদলু নেতা শঙ্কুদেব পান্ডার নামও শোনা যাচ্ছে প্রার্থী হিসেবে। বিজেপির একটি শিবির আবার রাজর্ষি লাহিড়ীকে প্রার্থী করতে চাইছে ওই আসনে।
সূত্রের খবর, কেবল ডায়মন্ডহারবার নয়, আরও হাফ ডজন লোকসভা আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে কোন্দল চলছে পদ্ম পার্টির অন্দরে। সেই আসনগুলি হল মেদিনীপুর, দমদম, রায়গঞ্জ, দার্জিলিং, কৃষ্ণনগর এবং উত্তর কলকাতা। সব মিলিয়ে সাত আসনের প্রার্থী নিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে কাজিয়া চলছে।
বাংলার বাকি ২৩টি লোকসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দু’দফায় বৈঠক করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অন্যরা। বৈঠকেই সাত আসন নিয়ে বঙ্গ বিজেপির নাজেহাল পরিস্থিতি সামনে এসেছে। দাজিলিঙে কে লড়বেন? রাজু বিস্তা, নাকি হর্ষবর্ধন শ্রিংলা— এখনও সিদ্ধান্তে আসেনি বিজেপি। রাজু বিস্তা টিকিট না পেলে বিদ্রোহের সম্মুখীন হতে হবে নেতৃত্বকে। দমদমে সৌরভ শিকদারের পাশাপাশি শীলভদ্র দত্ত ও তাপস রায়ের নাম নিয়ে চর্চা রয়েছে। এছাড়াও আসানসোল কেন্দ্রটি নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্রে বিজেপির মুখ পুড়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কৈলাস খেরের নাম নিয়ে চর্চা শুরু হতেই স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা বিরোধী শুরু করেছেন। দলের একাংশের মত, কোনও ‘বহিরাগত’কে প্রার্থী হিসেবে মানা হবে না।