কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে বিতর্কে মুখোমুখি হতে সাহস পাচ্ছে না বিজেপি! কটাক্ষ অভিষেকের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার সভা থেকে ফের একবার বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা এবং সড়ক যোজনার বরাদ্দ নিয়ে বিজেপি (BJP) নেতাদের খোলাখুলি বিতর্কে বসার আহ্বান জানিয়ে রেখেছিলেন তৃণমূলের অভিষেক। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সময় চেয়েও পিছিয়ে গিয়েছিল পদ্মশিবির। শুক্রবার কাটোয়ার সভা থেকে তা নিয়ে ফের এক বার বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল সেনাপতি।
কইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০২৪ এর ভোট শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবর্তনের জন্যে নয়. নিজের অধিকার রক্ষার ভোট। প্রতিবাদের ভোট, প্রতিশোধের ভোট, প্রতিরোধের ভোট। মোদীর গ্যারান্টি মানে আসলে ভাষণ, আর দিদির গ্যারান্টি মানে বিনা পয়সায় রেশন।’
লোকসভা ভোটের আগে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া স্টেডিয়ামে জনগর্জন সভা থেকে কার্যত বিজেপির ‘মিথ্যাচার’ নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। তিনি বলেন, ‘গত ১৪ ই মার্চ অথ্যাৎ আজ থেকে ৮ দিন আগে বিজেপি (BJP) ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলাম ২০১৭-১৮ সালের আবাস প্লাস স্কিমে ও গত তিন বছরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে যদি ১০ পয়সাও কেন্দ্রীয় সরকার দিয়ে থাকে তো আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। সেই চ্যালেঞ্জ আজও কোন বিজেপির ছোট বড় নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নেওয়ার সাহস পাননি। আমিও আজও বলছি বিজেপি নেতাদের, জায়গা আপনারা বলুন, সঞ্চালক আপনারা ঠিক করুন, আমাকে খালি সময় বলুন আমি রেডি, আজও চ্যালেঞ্জ ছুড়ছি। আসলে আপনারা পারবেন না।’
এদিন বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, “সিএএ আইন পাশ হল ২০১৯ সালে। আর তা লাগু হতে পাঁচ বছর সময় লেগে গেল? এটা জুমলা ছাড়া কী? সিএএ নোটিফিকেশন যেটা হয়েছে সেটা আরও একটা জুমলা। নোটিফিকেশনের চল্লিশের মধ্যে ৩৮ পাতা ফর্ম। কোথায় যাবেন, কার কাছে ফর্ম জমা দেবেন, তা বলা নেই। সিএএ-এর কারণে অসমে ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালি এনআরসির কবলে পড়েছেন। ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৩ বছরে তরতাজা যুবকের প্রাণ গিয়েছে। কাগজ খুঁজে পাচ্ছে না বলে আত্মহত্যা করেছেন। আপনাকে পাসপোর্ট দেখিয়ে প্রমাণ করতে হবে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান নাকি আফগানিস্তানের পাসপোর্ট আছে তা দেখাতে হবে। এটা জুমলা। আমি বলব জুমলার ফাঁদে পা দেবেন না।”