পোকা, মাকড় কামড়ালে কী করবেন? জেনে নিন ঘরোয়া টোটকা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মৌমাছি, বোলতা ইত্যাদির কামড় খাওয়ার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই রয়েছে? কিন্তু পোকা, মাকড়ের কামড় থেকে রেহাই পাবেন কী করে? ঘরোয়া টোটকাতেই মিলতে পারে আরাম।
মৌমাছির কামড় খাওয়ার পর জ্বালা যন্ত্রণা কমাতে, কামড়ের জায়গায় বরফের টুকরো বা আইস প্যাক চেপে রাখা যায়। কামড়ের জায়গা ঠান্ডা জলে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। আক্রান্ত অংশে ফুটে থাকা হুল সম্ভব হলে বের করে ফেলা উচিত।
শোনা যায়, বোলতার কামড়ে নাকি জ্বর আসে। মৌমাছি ও বোলতা, দুই পতঙ্গের বিষ শরীরে হুলের মাধ্যমে ঢুকলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে। বোলতা ও মৌমাছি, দুটির কামড়েই অ্যানাফাইল্যাক্টিক রিয়্যাকশন হওয়ার আশঙ্কা এড়ানো যায় না। বোলতা কামড়ানোর পর মামুলি ব্যথা, যন্ত্রণা, ফোলা ছাড়া অন্য কিছু তেমন একটা হয় না। সবক্ষেত্রেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
ভীমরুলের বিষ, বোলতা মৌমাছির থেকে বেশি। ভয়াবহতাও বেশি।
বাড়ির সাধারণ মাকড়শা কামড়ালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মামুলি ব্যথা, ফোলা, অ্যালার্জিক রিয়্যাকশন হয়। তবে কিছু কিছু মাকড়শা কামড়ালে মারাত্মক সেলুলাইটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণ মাকড়শা কামড়ালে, কামড়ের জায়গায় বরফের সেক দিলে রক্তসংবাহীনালী সংকুচিত হয়ে বিষের ছড়িয়ে পড়া আটকে দেয়। বরফের সেকই প্রাথমিক কর্তব্য।
ট্যারেন্টুলার কামড় সত্যিই মারাত্মক। বাংলায় কাইলোব্র্যাকিস ও সেলেনোকসোমিয়া গ্রুপের ট্যারেন্টুলা রয়েছে। কাইলোব্র্যাকিসের বিষ মায়োটক্সিক। এদের লোমগুলি দেহে অ্যালার্জিক রিয়্যাকশন করে। বিষ শরীরে ঢুকে কোষগুলি ধ্বংস করে। মারাত্মক সেলুলাইটিস হতে পারে। মূলত অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিহিস্টামিনিক, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। দেরিতে চিকিৎসা আরম্ভ হলে সেপ্টিসেমিয়া হতে পারে।
গুবরে পোকা গোত্রের কিছু রোভ বিটল পোকামাকড় দেহের সংস্পর্শে এলে পেডেরিন গোত্রের ফ্লুইডের কারণে ত্বকে ডার্মাটাইটিস হয়। পতঙ্গ ত্বকের সংস্পর্শে এলে, অসাবধানতাবশত মানুষ পোকাটিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে বা হাত দিয়ে ঘষে দেয়। সে’সময় পেডেরিন বিষে ত্বকের সংস্পর্শে আসে ও ডার্মাটাইটিস হয়। প্রাথমিকভাবে সাবান দিয়ে জায়গাটি পরিষ্কার করে, ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলা উচিত। অ্যান্টিবায়োটিক, ট্রপিক্যাল স্টেরয়েড মলমের প্রয়োগ করা যেতে পারে। সবক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।