শহর কলকাতার রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে ফেসবুক-ওটিটি, বলছে সমীক্ষা
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2024/03/ott-1024x576.jpg)
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: রাতে ঘুমানোর আগে সাধের স্মার্টফোনটি নিয়ে খানিক নড়াচড়া না করলে ঘুম আসে না? সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের হোমপেজ অন্তত একবার না দেখলে মনটা উসখুশ করে? নির্বাচনী তহবিল নিয়ে জোর তর্ক চলছে কমেন্ট বক্সে। ঘুমটুম পরে হবে। দু’-চারটে কড়া কথা না শুনিয়ে ফেসবুক বন্ধ সম্ভবই নয়। আবার ওটিটিতে মাত্র দু’টো এপিসোড শেষ না করে শুতে গেলে ঘুমই আসবে না!
এটাই এখন শহর কলকাতা। আরও স্পষ্ট করতে বলতে গেলে, এটাই তিলোত্তমার বাঙালির ‘রিক্রিয়েশন’। মোবাইলের স্ক্রিনে প্রমোদসফর। ফল? ঘুমকে আর একটু পিছনে ঠেলে দেওয়া। কলকাতাবাসীর এই অনিদ্রার রোগই ছিল সমীক্ষার বিষয়বস্তু। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে এসেছে। একটি নামজাদা ম্যাট্রেস সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, কলকাতায় ৮৮ শতাংশ মানুষ শুতে যাওয়ার সময় মোবাইল ঘাঁটেন। তাঁদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ জানিয়েছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তি ভর করে থাকে। মোটেও তরতাজা লাগে না। ওটিটি-ফেসবুকের পিরিয়ড কাবার করার পর যতটুকু সময় রাতে পাওয়া যায়, তাতেও যে খুব ভালো ঘুম হয়, এমনটা নয়। আর ৮৯ শতাংশ মানুষ বলছেন, একঘুমে রাত কাবার হওয়ার সৌভাগ্যের সে দিন আর তাঁদের নেই। এখন রাতে উসখুস করতে হয়। এক- দু’বার ঘুম ভাঙেই ভাঙে।
অর্থাৎ, ক্লান্ত সকাল, থেকে থেকে হাই ওঠা, অফিসে কাজে ভুল, বসের বকুনি। গোটা কলকাতার এখন নিদ নাহি আঁখিপাতে। ৪৭ শতাংশ কলকাতাবাসী জানেন, তাঁদের অনিদ্রার রাক্ষসটা লুকিয়ে মোবাইলটার মধ্যেই। তবু, ‘বাণী নাহি, তবু কানে কানে, কী যে শুনি তাহা কেবা জানে..’। সমীক্ষাটি বেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। অনিদ্রার সমাধানও তুলে ধরেছে তারা। যাঁদের মোবাইল না দেখে রাত কাটে না, তাঁদের ৩৫ শতাংশই বলেছেন, ‘ফোন না দেখলে হয়তো ভালো ঘুম হতে পারত। যেমন ঘুম হতো বহু বছর আগে।’ ৩৩ শতাংশ দাবি করেছেন, ‘নরম গদি বা আরও ভালো বিছানা থাকলে হয়তো ঘুমোতে পারতেন।’ আবার অনেকের ধারণা, ‘গভীর ঘুমও এক রকমের অভ্যাস। কিন্তু মধ্যরাত পর্যন্ত জাগতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে।’ ফলে কর্মক্ষেত্রে ঘুম পায় ৫১ শতাংশ মানুষের।-