বসন্তে চেনা ছবি রবি ঠাকুরের দেশে, দোলে শান্তিনিকেতনে উপচে পড়ল ভিড়
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2024/03/Dol-Yatra-1024x576.jpg)
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দোলে ফের চেনা ছবি ধরা পড়ল বোলপুরে। একেবারে ভিড়ে ঠাসা শান্তিনিকেতন। দোলকে কেন্দ্র করে শনিবার থেকেই পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। রবিবার আরও বাড়ে ভিড়। কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। এহেন পর্যটক সমাগমে পর্যটন ব্যবসায়ীদের পকেট রীতিমতো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। বিশ্বভারতী এবছর দোলের দিন বসন্ত উৎসব উদযাপন করেনি। ক্যাম্পাসে ভিড় এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটিগুলি শহরের নানান প্রান্তে বসন্ত উৎসব উদযাপন করছে। গোটা শান্তিনিকেতন সেজে উঠেছে। সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাটে সবথেকে ভিড় হয়েছে। দিন দুই আগে থেকে যান নিয়ন্ত্রণে আরম্ভ করেছিল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খোয়াই হাটের বিভিন্ন প্রান্তে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। পর্যটকদের জন্য প্রশাসন ও ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের পাউচ, স্বাস্থ্য শিবির, পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করা হয়।
ভিড় এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দোলের দিন বসন্ত উৎসব আয়োজন করেনি। এপ্রিল মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘরোয়াভাবে বসন্ত উৎসব আয়োজন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বোলপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছে। বোলপুর পুরসভা তরফে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট, রতনপল্লি নিমতলা মাঠ, জামবুনি দুর্গাপুজোর মাঠ, কাছারিপট্টি ম্যানেজারের মাঠ, রবীন্দ্রপল্লি, নুতনপল্লি প্রভৃতি জায়গায় বিশ্বভারতীর মতোই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
কলকাতা থেকে আসা পর্যটকরা তাতেই অংশ নিচ্ছেন। পুলিশের প্রস্তুতি ছিল চোখে পড়ার মতো। হাটে গাড়ি বা টোটোর প্রবেশ রুখতে হাটের পার্শ্ববর্তী চারদিকে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কলকাতা বা ইলামবাজার থেকে এলে বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের মাঠে যান পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ভেদিয়া থেকে এলে বোলপুর শিবতলা হয়ে কাশীপুর অতিক্রম করে লালবাঁধে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। শান্তিনিকেতন রোড আগত কোনও টোটোকেই খোয়াই হাটে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া লাভপুর, আহমদপুর থেকে এলে প্রান্তিকে পার্কিং করা হয়েছে। নানুর থেকে এলে ত্রিশূলাপট্টি, লালপুল অতিক্রম করে ডাকবাংলো ময়দানে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিটি হোটেল কার্যত ভিড়ে ঠাসা।