২০২৩-র চেয়েও উষ্ণতম হবে চব্বিশ, সতর্কবাণী WMO-র
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৩-কে ‘উষ্ণতম বর্ষ’-র তকমা দিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। এর আগে ২০১৬ সালকে উষ্ণতম বছর বলা হয়েছিল। ডব্লুএমও (WMO) জানিয়েছে, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ আরও উষ্ণ হতে পারে। যা নিয়ে লাল সতকর্তাও জারি করেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস উষ্ণতার নিরিখে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
বিগত বছর উষ্ণতা বেশি হওয়ার নেপথ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি এল নিনোর প্রভাব ছিল। ২০১৬-তেও এল নিনো সক্রিয় ছিল। এবার এল নিনোর বিদায়ের ইঙ্গিত মিলছে। এল নিনোর জায়গায় ‘নিউট্রাল ইএসএনও’ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
প্রশান্ত মহাসাগরে জলের উষ্ণতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে এল নিনোর সৃষ্টি হয়। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাত কমে। প্রশান্ত মহাসাগরে জলের উষ্ণতা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে ‘লা নিনা’র সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে তাপমাত্রা কমে। ২০২৩ সালে বর্ষা মরশুম শুরু হওয়ার পর দেশে এল নিনো পরিস্থিতি তৈরি হয়। দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়। জুন থেকে প্রতিমাসে উষ্ণতা বিশ্ব রেকর্ড করেছে।
লা নিনা শুরু হওয়ার পরও উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রবণতা থাকবে কি না, তা নিয়েই ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা। লা নিনা শুরু হলে, উষ্ণতা বৃদ্ধির একমাত্র কারণ হবে জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকছেই। বিশ্বের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। পৃথিবীর ভূমি ও জলের উষ্ণতা বাড়ায়
মেরু অঞ্চলের বরফ আরও গলবে। বৃদ্ধি পাবে সমুদ্র ও নদীর জলস্তর, এ কারণেই ডব্লুএমও ‘লাল’ সতর্কতা জারি করেছে।