রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

আবহাওয়া বদলে পাল্লা দিচ্ছে ভাইরাল সংক্রমণ, কী বলছেন চিকিৎসকরা?

March 27, 2024 | < 1 min read

ছবি সৌজন্যে: Shutterstock

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রোদ, বৃষ্টি আর তাপমাত্রার অদল-বদলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাইরাল সংক্রমণ বেড়েই যাচ্ছে রাজ্যে। আট থেকে আশি, কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথা, ম্যাজমেজে ভাব, খিদেয় অনীহার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। বাড়ির কারও হলে নিমেষেই তা বাকিদের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে। জ্বর কমলেও দুর্বলতা ও অরুচি থাকছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। পুরোদস্তুর গরমের আগেই রাজ্যজুড়ে প্রায় সাড়ে পাঁচশোর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গুতে। উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, মালদহ ও কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

চিকিৎসকরা বলছেন, খুব কম বয়সী এবং বেশি বয়সীদের সাবধানে থাকতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের দাপট চলছে। বেশি বয়সীরা অনেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। কম বয়সীদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ততটা না হলেও, এক থেকে দু’সপ্তাহ জ্বরের সঙ্গে কাশি ও গলাব্যথা থাকছে। চিকিৎসকদের মতে, হঠাৎ করেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকলে ৫ ঘণ্টা অন্তর প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। প্রচুর পরিমাণে জল, ডাবের জল, রসাল ফল ও হালকা খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, গতবছরের তুলনায় এবছর ভাইরাল ইনফেকশনের দাপট বেশি। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসে সংক্রামিত হচ্ছেন বহু মানুষ। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের কথায়, ঠান্ডা-গরমের জন্য বাচ্চারা ভুগছে। তিন থেকে পাঁচদিন ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি জ্বর থাকছে অনেকের। জ্বর কমলেও শরীর দুর্বল থাকছে। ওষুধপত্র গ্রহণের পাশাপাশি, পর্যাপ্ত জল পানের উপরও জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Viral infection

আরো দেখুন